যশোরে পুলিশ সদস্য আইসোলেশনে

যশোর পুলিশ লাইনে কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবলকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২১ মার্চ) সকাল দশটার দিকে একজন কনস্টেবল যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। করোনা ইউনিটে শারীরিক পরীক্ষা শেষে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।

অসুস্থ ওই কনস্টেবলের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরো জানিয়েছে, তিনি পুলিশ লাইনে যে রুমে ছিলেন, সেই রুমের ৬ সদস্যের মধ্যে একজনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ইতোপূর্বে ঢাকায় পাঠানো হয়। ২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। আর শনিবার এই কনস্টেবলকে হাসপাতালে আনার পর হোম আইসোলেশনে পাঠানো হলো।

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, সন্দেহভাজন এক পুলিশ কনস্টেবলকে শনিবার হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে করোনাভাইরাস জনিত লক্ষণ থাকায় তাকে হোম আইসোলেশনে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, আপনারা আমার আগেই তথ্য জেনে যান। খোঁজ নিয়ে পরে জানানো হবে।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে একজন কনস্টেবলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে বলা হয়েছে। তাকে পুলিশ লাইনে, না বাড়িতে পৃথক করে রাখা হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার সহকর্মীদের ছুটির বিষয়টি দেখভাল করেন। তিনি একটি জরুরি সভায় আছেন। ফিরলে দ্রুত সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

কতজন পুলিশ সদস্য হোম কোয়ারেন্টাইনে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, একজনকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আজকের বিষয়ে আমার জানা নেই, খোঁজ নিতে হবে।

পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন, ভুল তথ্য৷