দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিশ্ব: জাতিসংঘ

antonio guterres - us united nation

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মহামারী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটের সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা চীনের চেয়েও বেশি। ইউরোপের মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো একদিনে তাদের সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যুর খবর দিয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিনি সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করার অনুরোধ জানান। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য আর্থসামাজিক প্রভাব নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, নতুন করোনাভাইরাস রোগ সমাজগুলোর মূলে আঘাত হানছে, মানুষের জীবন ও জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে। জাতিসংঘ গঠিত হওয়ার পর থেকে কোভিড-১৯ আমাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখে ফেলেছে।

সংক্রমণ রোধ করতে ও মহামারীর ইতি ঘটাতে আশু সমন্বিত স্বাস্থ্য উদ্যোগ নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার করোনায় প্রায় ৮০০ জন মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছে, যার ফলে দেশটিতে মৃত্যুর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৮৯ জনেরও বেশি।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মানুষও যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ সাড়ে ৮৮ হাজার। যেখানে চীনে এ রোগে ৩ হাজার ৩০৫ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্পেন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইতালি প্রত্যেকেই মহামারী শুরুর পর থেকে মৃত্যুর ক্ষেত্রে একদিনে তাদের সর্বোচ্চ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইতালিতে এ রোগে প্রায় ১২ হাজার ৪২৮ জন মানুষ মারা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩০০ জন সুস্থ হয়েছেন। আর ৪২ হাজার ৩৩২ জন মারা গেছেন।