যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মারা গেছে ৭৮ বাংলাদেশি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার নিউইয়র্কে পাঁচজন ও নিউইজার্সিতে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৭৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারালেন। এর মধ্যে নিউইয়র্কে ৭৪, নিউজার্সিতে ৪ ও মিশিগানে ১ বাংলাদেশি মারা গেছেন।

নিউইয়র্কের ভেঙে পরা চিকিৎসা ব্যবস্থার শিকার হয়ে মারা গেছেন কুইন্সের তামিনা ইসলাম খান তমা (৩২)। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে করোনায় আক্রান্ত তমা জ্যামাইকার কুইন্স জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু তাকে বাঁচানোর জন্য ভেন্টিলেটর দিতে পারেননি চিকিৎসকরা। ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে তমা দেড় বছর আগে নিউইয়র্কে বাবা তাজুল ইসলাম খান ও মার সাথে বসবাস করছিলেন। তাদের একমাত্র সন্তানটি হারিয়ে ইসলাম দম্পতি বাকহারা।

এদিকে নিউইয়র্কে করোনায় মৃত্যু এক একটি পরিবার তছনছ করে দিচ্ছে। যিনি মারা যাচ্ছেন পেছনে ফেলে যাচ্ছেন অসহায় পরিবারকে। আবার কোন পরিবারের আক্রান্ত হয়ে স্বামী মারা যাচ্ছেন, স্ত্রী আক্রান্ত হচ্ছেন সাথে সন্তানরাও। এমন ঘটনা ঘটেছে জ্যামাইকার একটি পরিবারে।

তিন সন্তানের বাবা মোহাম্মদ সাইফুল খান আজাদ (৪৯) ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে জ্যামাইকার হাসপাতালে ভর্তি হন। স্ত্রী সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন। সাইফুল মারা যান রোববার। এরমধ্যে আবার সাইফুলের ছোট ভাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিকে তিন সন্তান নিয়ে নিয়ে দিশেহারা সাইফুলের স্ত্রী।

করোনার ছোবলে সবচেয়ে কম বয়সী হাফিজ রুবেল আহমেদ (২৩) মারা গেছেন নিউজার্সির প্যাটারসন সিটিতে।

নিউইয়র্কে রোববার ভোরে বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি ও নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল আহমেদ (৬৯) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুতে জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাবা ফাতিমা ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।

এ দিন নিউইয়র্কে আরও মারা যান বাচ্চু মিয়া (৬৪) ও তোফায়েল আহমেদ (৫৪)।