চাল চোরের পক্ষে তদবির; বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে বহিষ্কার

ত্রাণ চাল চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কোরবান আলী সরদারকে বাঁচানোর চেষ্টা করার অভিযোগে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল বাতেনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামালের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

লিখিত বিবৃতিতে তারা জানান, সোমবার রাতে বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কোরবান আলী সরদার কালোবাজারে ভিজিডি ত্রাণের ২২৯ বস্তা চাল বিক্রির সময় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন।
এ ঘটনায় কেন্দ্রের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় সকল পদ থেকে কোরবান সরদারকে বহিষ্কার করে। গ্র্রেফতারের ঘটনাকে প্রশাসনের ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে তাকে মুক্ত করতে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ভাই আব্দুল বাতেন তদবির শুরু করেন।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বিষয়টি অবগত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে জানালে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামালের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ সিদ্ধান্ত ১৪ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, আব্দুল বাতেন দীর্ঘদিন ধরে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে বিভিন্ন বিতর্কিত কাজ করে আসছিলেন। সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অবৈধ নৌবন্দর পরিচালনা, জামায়াত ও বিএনপির লোকজনকে প্রশ্রয় দেওয়া ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।