কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনা সংকট ও তার পরবর্তী সময়ে বিশ্বে খাদ্য মন্দার যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। খাদ্য সংকট নিয়ে বিশেষজ্ঞদের যে শঙ্কা তা কাটিয়ে উঠতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী সংকট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে উৎপাদনে প্রণোদনায় ৪% সুদে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রান্তিক চাষি পর্যায়ে এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত মিলনায়তনে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ শীর্ষক অনুষ্ঠান ও মধুপুর পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ বিতরণসহ একাধিক ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিচালন বাজেটের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য উন্নয়ন সহায়তা প্রদান কর্মসূচিতে উন্নয়ন সহায়তাপ্রাপ্ত কৃষকদের মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুপুর সার্কেল) কামরান হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমএ করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন খরচের তুলনায় উৎপাদিত কৃষি পণ্যের দামে কৃষক বঞ্চিত হন। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে লাভজনক করার লক্ষ্যে কৃষক পর্যায়ের প্রণোদনায় ২০০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা দুর্যোগ আমাদের আক্রমণ করেছে। সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে। এই মহা সংকটে সারা বিশ্বের সঙ্গে আমরাও শামিল। এই সংকট থেকে পৃথিবী ও আমাদের মোকাবেলা করে রক্ষা পেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সবাই আপনাদের পাশে আছি।
পঙ্গপাল নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। এরকম একটি খবর পেয়ে আক্রমণ স্থলে বিশেষজ্ঞ গবেষক টিম পাঠানো হয়েছে। তাদের পরামর্শে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে শেষে কৃষিমন্ত্রী মধুপুর উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামানের হাতে ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ইয়ানমার কম্বাইন হরভেস্টার মেশিন ১৪ লাখ টাকায় মালিকানা বুঝিয়ে দেন।