বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখার দাবিতে যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরের মধ্যে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট বন্ধ রাখার দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা।

রোববার সকালে জয়ন্তীপুর বাজারে যশোর রোডের উপরে আড়াআড়িভাবে বেঞ্চ পেতে সড়ক অবরোধে শামিল হন স্থানীয় গ্রামবাসী ও শ্রমিকরা। এসময় তাঁরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা করে ‘এলপিআই কর্তৃপক্ষের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ছয়ঘরিয়া এলাকার মানুষের স্বার্থে অবিলম্বে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট বন্ধ করতে হবে, করতে হবে’ স্লোগানে সোচ্চার হন।

রোববার অবরোধ চলাকালীন পেট্রাপোল বন্দরের শুল্ক দফতর ও সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউসের আধিকারিকরা আটকে পড়েন। এসময় তাঁদের গাড়ি অবরোধের মধ্যে পড়লে তাঁরা সঠিক সময়ে দফতরে পৌঁছাতে পারেননি। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে অবরোধ চলার পরে পুলিশ অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে প্রয়োজনীয় আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

এ সম্পর্কে ট্রাক লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি অমিত কুমার বসু জানান, ‘করোনা মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই মুহূর্তে যাতে বাংলাদেশের সঙ্গে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট চালু না হয় সেজন্য স্থানীয় গ্রামবাসী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষজন অবরোধে শামিল হয়েছেন।’

পেট্রাপোল লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাবেক পঞ্চায়েত সদস্য চিত্ত সরদার জানান, ‘জয়ন্তীপুরসহ ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের দশটা গ্রামের বাসিন্দারা এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট বন্ধ রাখার দাবিতে সকাল ১০ টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধে শামিল হন। পেট্রাপোল সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের বেনাপোল সংলগ্ন এলাকায় অনেক মানুষ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এপার থেকে ওপারে যাওয়া ট্রাক ড্রাইভার, খালাসী থেকে শুরু করে ক্লিয়ারিং এজেন্ট ও অন্য যারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের হাতে নথিপত্র বুঝিয়ে দেবেন তাঁরা সংক্রমিত হতে পারেন। এরফলে সীমান্তের ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারে। সেজন্য অবিলম্বে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়েছে।’

শ্রমিক নেতা চিত্ত সরদারের দাবি, বাংলাদেশের বেনাপোল সংলগ্ন এলাকায় ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সেজন্য বেনাপোল স্থল বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক গেলে এপারেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অবিলম্বে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ রাখতে হবে। সূত্র: পার্সটুডে