যশোরের শংকরপুরে ঈদের দিন মারপিট-ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দু’পক্ষের মামলা, গ্রেফতার-৩

যশোর শহরের নাজির শংকরপুর হাজারী রেলগেট এলাকায় হামলা মারপিট ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় একে অপরকে দায়ী করে কোতয়ালি মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি দু’টি মামলা হয়েছে।

পুলিশ এ ঘটনায় আহত অবস্থায় দু’পক্ষের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হচ্ছে, শহরের নাজির শংকরপুর ছোটনের মোড়ের শেখ আলমগীর হোসেন ওরফে বেড়ে আলীর ছেলে তানভীর ইসলাম সুইট, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার সোলাইমানের ছেলে শুভ ও শহরের নাজির শংকরপুর হাজারী গেট এলাকার মৃত আইয়ূব আলীর ছেলে মফিজুর রহমান। গ্রেফতারকৃত সকলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আব্দুল কাদের শেখের ছেলে আলমগীর হোসেন ওরফে বেড়ে আলী বাদি হয়ে ২৫ মে রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন। তিনি এজাহারে নাজির শংকরপুর হাজারী গেট এলাকার মৃত আইয়ূব আলীর ছেলে মফিজুর রহমান ও নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ের আজানুরসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন আসামী করেছেন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে তানভীর ইসলাম সুইট এ বছর আলহেরা ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আসামী মফিজুর রহমান ও আজানুরের সাথে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। গত ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল সাড়ে ৫ টায় সুইট নাজির শংকরপুর রেলগেট দক্ষিণ পাশে ভ্যানচালক কাশেম মিয়ার বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা পেয়ে উক্ত আসামীরা এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে। তানভীর ইসলাম সুইটের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মফিজুর রহমানকে ধরে মারপিট করে। বর্তমানে মফিজুর রহমান যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অপরদিকে, নাজির শংকরপুর হাজারী গেট এলাকার মৃত আইয়ূব আলীর স্ত্রী মোছাঃ সালেহা বেগম বাদি হয়ে ঈদের দিন রাতে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে আসামি করে এজাহার দায়ের করেন। আসামীরা হচ্ছে, নাজির শংকরপুর ছোটনের মোড়ের হাফিজুর রহমানের ছেলে আবু মুসা, ঠিলে মুন্সী ওরফে হালিমের ছেলে টুনি শাওন, শেখ আলমগীর হোসেন ওরফে বেড়ে আলীর ছেলে তানভীর ইসলাম সুইট, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার সোলাইমানের ছেলে শুভ, নাজির শংকরপুর ছোটনের মোড়ের আমিনুলের ছেলে ইনা, কাজলের ছেলে বুলেট সাগর, শাহজাহান মিস্ত্রীর ছেলে শান্ত, আশরাফের ছেলে ঝন্টু, মান্নানের ছেলে রিপন ও রশিদের ছেলে সোহেলসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।

সালেহা বেগম দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন, তিনি পেশায় রাজ মিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার ছেলে মফিজুর রহমান এলাকায় উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে বাধা নিষেধ করায় পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল সাড়ে ৫ টায় মফিজুর রহমানকে নাজির শংকরপুর হাজারী রেলগেট দক্ষিণ পাশে ভ্যান চালক কাশেম মিয়ার বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা পেয়ে উক্ত আসামীরা বেধড়ক মারপিট করে লোহার রড দিয়ে আঘাতের এক পর্যায় ছুরিকাঘাত করে। মফিজুর রহমানের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা দৌড়ে পালানোর কালে জনতা তানভীর ইসলাম সুইট ও শুভকে ধরে মারপিট করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।