যশোরের ষ্টেডিয়াম পাড়ায় যুবক খুনের ঘটনায় আটক বিপ্লবের আদালতে জবানবন্দি

Jessore map

২৯ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর শহরের খড়কী ষ্টেডিয়ামপাড়া বটতলার মোড়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মাণ শ্রমিক আল-মাহমুদ (১৯) খুনের ঘটনায় শনিবার বিকেলে নিহতর পিতা বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এজাহার নামীয় আসামী বিপ্লবকে গ্রেফতার পূর্বক রোববার আদালতে সোপর্দ করলে সে বিজ্ঞ বিচারকের সামনে হত্যাকান্ডের বর্ণনা করে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

বিপ্লব যশোর শহরের সার্কিট হাউজ পাড়া জিলা স্কুলের পিছনে আনোয়ার গাজীর ছেলে।

এজাহার নামীয় আসামীরা হচ্ছে, যশোর শহরের খড়কী হাজামপাড়া রেললাইনের পাশে রফিকের ছেলে সাব্বির হোসেন, একই এলাকার হৃদয় হোসেন ওরফে টেরা হৃদয়, খড়কী কলেজপাড়ার রাকিব হোসেন, শহরের বকচর বিহারী কলোনীর খানজাহান আলীর ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক, খড়কী কলেজ পাড়ার রসুল, এমএম কলেজ হকার্স মার্কেটের পিছনের মিলনের ছেলে তাসিন, খড়কী কলেজ পাড়ার জাহিদ, ধর্মতলার ব্লাক সিয়াম, ধর্মতলা কদমতলার মাহিম, খেলাডাঙ্গার সাধনের ছেলে জয় বিশ্বাস, খোলাডাঙ্গার নিশু, জিলা স্কুলের পিছনে সার্কিট হাউজ পাড়ার আনোয়ার গাজীর ছেলে বিপ্লব ও খড়কী কলেজপাড়া ইসমাইলসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।

যশোর কেশবপুর উপজেলার ব্রক্ষনকাঠি গ্রামের বর্তমানে যশোর খড়কী ষ্টেডিয়ামপাড়ার জামাল ওরফে বাবুর বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত আজিজ শেখের ছেলে আবুল বাশার কোতয়ালি মডেল থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন, তার ছেলের সাথে উল্লেখিত আসামীদের পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। ২৯ মে ছেলে আল মাহমুদ তার সহপাঠি আরাফাত ও সাজিমের সাথে খড়কী ষ্টেডিয়ামপাড়ার ঘের বাবুর বিল্ডিংয়ের পিছনে পুকুর হতে মাছ ধরে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় খড়কী ষ্টেডিয়াম পাড়া বটতলার মোড়ে পৌঁছুলে আসামীরা অর্তকিতভাবে আল মাহমুদের উপর হামলা করে। সাব্বির তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে। অন্যান্য আসামীরা মারপিট করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আল মাহমুদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘন্টা কয়েক পর মারা যায়।

এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিপ্লবকে গ্রেফতার করে। রোববার বিপ্লবকে আদালতে সোপর্দ করলে সে স্বেচ্ছায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের সামনকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে ও ঘটনার বর্ননা দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শেখ আবু হেনা মিলন।