খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী দীপ্ত রায়কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। সোমবার সকালে যশোরের বাঘারপাড়ার মহিরন গ্রামে তার বাড়ি গিয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও করোনামুক্ত ছাড়পত্র প্রদান করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শরিফুল ইসলাম, আবাসিক মেডিকেল অফিসার কৌশিক আশরাফ, ডাক্তার শাহ আলম রুবেল ও ডাক্তার মনিরুজ্জামান।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল বাঘারপাড়া পৌর এলাকা মহিরণ গ্রামের বাসিন্দা ও খুলনা বিএল কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র দীপ্ত রায়ের শরীরে প্রথম করোনভাইরাস শনাক্ত হয়। এ সময় তার বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। এরপর গত ২ মে দ্বিতীয় নমুনায় নেগেটিভ আসলেও গত ১৫ মে পাঠানো তৃতীয়বারের নমুনা পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পরে। সর্বশেষ গত ২৩ ও ২৮ মে নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল আসায় তাকে করোনা মুক্ত ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শরিফুল ইসলাম জানান, গত ২৮ এপ্রিল দীপ্ত রায়ের শরীরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ন্যাশনাল গাইড অনুযায়ী গত ২৩ ও ২৭ এপ্রিল পরপর দু’বার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল আসে। তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ না থাকায় ও ১৪ দিনের হোম আইসোলেশন মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়ায় লকডাউন প্রত্যাহার ও করোনা বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে তাকে সুস্থতার ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ মার্চ বাঘারপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা পশ্চিমা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা যুবক আব্দুল মান্নানের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর পরপর দু’বার নমুনা পরীক্ষায় তার ফলাফল নেগেটিভ আসে। সে কারণে গত ১২ মে তাকে করোনা মুক্ত ছাড়পত্র প্রদান করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।