জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় আহতের ঘটনায় মামলা, আটক-১

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় পিতা-পুত্র আহত আসবাবপত্র ভাংচুর ও শ্লীলতাহানি ঘটানায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

আহতরা হচ্ছেন আবুল খায়ের (৫৬) ও ছেলে সোহেল (৩০)। এঘটনায় পুলিশ রবিউল ইসলামকে আটক করেছে। সদর উপজেলার নওদাগ্রামের মৃত আব্দুল বারির ছেলে মুদি ব্যবসায়ি আবুল খায়ের বাদি হয়ে মঙ্গলবার (২ জুন) কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হচ্ছে নওদা মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারির ছেলে আবুল হোসেন (৫০), আবুল হোসেনের ছেলে শিহাব হোসেন (২০), ও শহরআলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৫০)।

মামলায় আবুল খায়ের উল্লেখ করেছেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আসামিদের সাথে ইতি বিরোধ হয়। ওই সময় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। নাম্বার-৯৫২/১৯। মামলার পর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদেরকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকি দেয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র ধারালো দা, লোহার রড বাশের লাঠিসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আসামিরা সাত মাইল বাজারে আমার মুদি দোকানের সামনে যেয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ করতে থাকে। আমার ছেলে সোহেল প্রতিবাদ করলে আসামি আবুল হোসেনের নির্দেশে অন্য আসামিরা সোহেলকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। আসামি আবুল হোসেন লোহার রড দিয়ে সোহেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝখানে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। আমি ঠেকাতে গেলে আসামি রবিউল এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে ফোলাজখম করে। আসামিরা আমার প্যান্টের পকেট থেকে ব্যবসায়ীক নগদ ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে আসামিরা হুমকি দিয়ে চলে যায়। এঘটনার আধা ঘন্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আসামিরা আমার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে আমার স্ত্রী নবীরনকে (৪০) মারপিট করে জখম করে। আসামিরা ঘরে ঢুকে শোকেচ, আলমারি, গ্যাসের চুলাসহ অন্যান্য জিনিষপত্র ভাংচুর করে অনুমান ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। আসামি রবিউল আমার স্ত্রীর পরিধেয় বস্ত্র টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এঘটনায় প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে আসামিরা হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা আহত আবুল খায়ের ও সোহেলকে উদ্ধার করে আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই কামাল জানান, মামলার তিন নম্বর আসামি রবিউল ইসলামকে মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।