যশোরে উপশহরে ইমু হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা

যশোর শহরতলীর উপশহর খাজুরাবাসস্ট্যান্ডস্থ শিশু হাসপাতালের সামনে উপশহর আদর্শ বহুমুখি মাদ্রাসার সভাপতি এনামুল হক ইমু (৩২) হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহত ইমুর পিতা ব্যবসায়ী (পুরাতন বিল্ডিং ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা) উপশহর বি-ব্লক ১০৯ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা ইকবাল হোসেন ইকু বাদি হয়ে (২২ জুন) সোমবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে ইমু হত্যাকান্ডের পর ২৪ ঘন্টা পার হলেও পুলিশ হত্যাকান্ডের কারণ উদঘাটন করতে পারেনি। পারেনি এখনো কোন আসামি আটক করতে।

মামলার এজাহারে বাদি ইকবাল হোসেন ইকু উল্লেখ করেছেন, আমার ছোট ছেলে এহসানুল হক ইমু আমার ব্যবসার সহযোগিতা করতো। ২১ জুন রোববার সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে নতুন উপশহর শিশু হাসপাতালে সামনে চায়ের দোকানে চা খেতে যায়। শিশু হাসপাতালের দক্ষিনে ফুটপাথের পাশে জনৈক রয়েলের চায়ের দোকানে সামনে সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটের সময় কতিপয় ব্যক্তি একে অপরের সাথে হাতাহাতি করছে। এঘটনা দেখে আমার ছেলে ইমু চড় থাপ্পড় মেরে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে রয়েলের দোকানে চা পান করে। এর জের ধরে রাত ৮ টার দিকে ৩ টি মোটরসাইকেল ও ২টি ইজিবাইক যোগে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে এসে ইমুকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অজ্ঞাত নামা ওই যুবকদের সাথে ধস্তাধস্তির আগে চিৎকার দিকে অজ্ঞাত আসামিরা ইমুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুত্বর আঘাত করে। অজ্ঞাত নামা আসামিদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইমুর পেটের উপরি ভাগ, ডান পায়ের হাটুর উপরে বাম পায়ের হাটুর নীচে রক্তাত্ত জখম হয়। ঘটনা ঘটনার পর আসামিরা উপশহর থেকে দ্রুত কাঠালতলার দিকে চলে যায়। অজ্ঞাত নামা একজন রিকশা চালক ইমুকে উদ্ধার করে রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতারে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ইমু মারা যায়।

এদিকে ইমু হত্যাকান্ডের পর ২৪ ঘন্টা পার হলেও পুলিশ হত্যাকান্ডের কারণ উদঘাটন করতে পারেনি। পারেনি এখনো কোন আসামি আটক করতে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এস আই কামাল হোসেন জানান, ইমু হত্যাকান্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। আটক হয়নি আসামিও। তবে হত্যাকান্ডের কারণ উঘাটন ও আসামি আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ইমু ছিলো ফেনসিডিল আসক্ত। ইতি পূর্বে ইমু ফেনসিডিলসহ পুলিশের কাছর ধরা পড়ে। পরে জামিনে ছাড়া পায়। তিনি নিয়মিত ফেনসিডিল সেবন করতেন ও শিশু হাসপাতালের সামনে রয়েলের চায়ের দোকানে বসে চা পান করতেন। ইমু পুরাতন কসবা এলাকার বাবু ও র্দুজয় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে বাকিতে ফেনসিডিল নিয়ে সেবন করে। ফেনসিডিলের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবু ও দুজয়ের সাথে ইমুর কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমু এদের একজনকে চড় মারে। ইমুর চড় খেয়ে বাবু ও দুর্জয় শিশু হাসপাতালের সামনে থেকে চলে যায়। পরে তারা ৭/৮ জন পরিকল্পিত ভাবে এসে ইমুকে ছুরিকাঘাত করলে ইমু মারা যায়।

পুরাতন কসবা এলাকার একটি সূত্র জানায়, ইমু হত্যাকান্ডের পর পুলিশ বাবু ও র্দুজয়দের বাড়ি বেশ কয়েকবার অভিযান চালায়। কিন্তু তাদের আটক করতে পারেনি। সূত্রটি জানায়, বাবু ও র্দুজয় বর্তমানে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।