খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন করায় কৃষকদেরকে হুমকির অভিযোগ

Bagerhat map

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিষখালী-কর্ন্দপুকুর-বহরবৌলা খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন করা কৃষকদের মেরে ফেলা ও এলাকা ছাড়ার হুমকী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। খাল খননের জন্য ন্যায্য দাবি করায় হতদরিদ্র কৃষকরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। কৃষকরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আবারও খাল খননের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।

সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে বনগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন ঢালী বলেন, শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে খান পুনঃ খননের দাবিতে আমরা বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলনের হস্তক্ষেপ কামনায় মানববন্ধন করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাত থেকেই বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিপন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে স্থানীয় অঞ্জন হালদার, মনি শঙ্কর ঢালি আমাদের উপর হামলার হুমকি প্রদান করে ও খাল খননের প্রজেক্ট বাতিলের হুমকি প্রদান করে। শুধু আমাকে নয় এলাকার অনেক কৃষককেই এভাবে হুমকী দিয়েছেন রিপন চেয়ারম্যানের লোকেরা। এই অবস্থায় কৃষকরা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের অর্থায়নে বিষখালী-কন্দপুকুর-বহরবৌলা খালের ২ কিলোমিটার খনন কাজ শুরুর দাবিতে মানববন্ধন করে স্থানীয় কৃষকরা। মানববন্ধনে কৃষক ও ঠিকাদারের ম্যানেজার দাবি করেন, সাবেক ইউপি সদস্য অঞ্জলি হালদার, অঞ্জন হালদার, বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিসসহকারী মনি শঙ্কর ঢালিসহ কিছু অসাধু লোক খাল খননে বাধা প্রদান করে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিপন চন্দ্র দাস ঠিকাদারের কাছে একলক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকেরা খাল খনন বন্ধ করে দেয়।

বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিপন চন্দ্র দাস বলেন, কৃষকরা খাল খননে বাঁধা প্রদানের জন্য আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এবং হুমকী দেওয়ার ঘটনাও বানোয়াট। আমি বা আমার লোকজন কাউকে হুমকী দেয়নি।