ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৮ দিন পর গৃহবধূর গলিত মরদেহ উদ্ধার

ঝিনাইদহের নিখোঁজের আটদিন পর মৌসুমি খাতুন (২৪) নামে এক সন্তানের জননীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মৌসুমি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের সমশের উদ্দীনের মেয়ে।

শনিবার বিকাল ৫টার দিকে দক্ষিণ রামনগরের পাশে তেতুল বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। গত ২ জুলাই রাতে তার বাবার বাড়ি থেকে সে নিখোঁজ হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে ৫ বছর পূর্বে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন খয়েরতলা গ্রামে রোকন উদ্দীনের সাথে বিয়ে হয়েছিল মৌসুমির। নিহতের চার বছরের পুত্র সন্তান আছে। স্বামীর সংসারে বনিবনা না হওয়া দির্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতেই বসবাস করছিল নিহত মৌসুমি। মাঝে মাঝে তার স্বামী সেখানে এসে থাকতো।

নিহতের ভাই সুজন হোসেন জানান, গত ২ জুলাই আমাদের এক আত্মীয় অসুস্থ্য থাকায় আমার মা চার বছরের ভাগ্নেকে নিয়ে সেখানে ছিলেন। এছাড়া বাবাও ব্যবসায়ীক কাজে নোয়াপাড়া ছিলেন। বাড়িতে শুধু আমার বোন ও তার জামাই ছিল। ৩ জুলাই আমার ভগ্নিপতি সকালে প্রতিবেশিদের জানায় রাত তিনটার পর থেকে মৌসুমিকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি সে কোথায় চলে গেছে। এরপর ওই দিন ভগ্নিপতি রোহন নিজেই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। আমরা সবাই বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করি। এই সুযোগে আমার ভগ্নিপতি বাড়ির একটি ছাগল বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে তাকেও আর পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার বিকালে মাঠে কাজ করতে যাওয়া কৃষকরা বিলের পটের নিচে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।