যশোর নতুন উপশহরস্থ তুলা উন্নয়ন বোর্ডে চুরির ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ চুরির সাথে জড়িত অভিযোগে শাহিন ওরফে শামিম (২৪) নামে একজনকে আটক করেছে। আটক শাহিন শহরের শংকরপুর বাসটার্মিনাল এলাকার রবিউল ইসলাম ওরফে বাবুল ওরফে রবির ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মৃত শাজাহান মন্ডলের ছেলে বর্তমানে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন বাদি হয়ে ১৪ জুলাই মঙ্গলবার সকালে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিনি বলেছেন, সোমবার (১৩ জুলাই) অফিসের কার্যক্রম শেষে বিকাল ৫ টায় অফিসের আলমারিতে বিভিন্ন কৃষকের নগদ ২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা রেখে তালা বন্ধ করে অফিসের দরজায় তালা লাগিয়ে নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুস সালামকে পাহারায় রেখে সকল কর্মকর্তাকর্মচারি নিজ নিজ বাসায় চলে যায়। আব্দুস সালামের বাড়ি শহরের বারান্দিপাড়া লিচুতলা এলাকায়। আমি পাশের ফ্লাটে অবস্থান করি। ১৪ জুলাই রাত আনুমানিক ৩ টার সময় দ্বিতীয় তলার দক্ষিন পাশে অফিসের দরজা ভাঙ্গার শব্দ শোনা যায়। নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুস সালাম দোতালায় গিয়ে দেখেন দক্ষিন পাশের অফিসের দরজা ভাঙ্গা। অফিসের মধ্যে একজন চোর রয়েছে। নিরাপত্তা প্রহরী কৌশলে দ্বিতীয় তলার দরজা বন্ধ করে দেয়। চোর অফিসের মধ্যে ছুটা ছুটি করার শব্দ শুনে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আমি নিরাপত্তা প্রহরি ও পুলিশ অফিসের দরজা খুলে শাহিন নামে এক চোরকে হাতে নাতে ধরা হয়। সে বাথরুমের ভেন্টিলেট দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এতে সে সামান্য আহত হয়। তাকে ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়। ধৃত চোর শাহিনের কাছ থেকে এস আই লতিফ ২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে। টাকা গুলি একটি কমলা রঙের শপিং ব্যাগের মধ্যে ছিলো।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত শাহিন স্বীকার করে অজ্ঞাত নামা ৩ জন আসামির সহায়তায় অফিসের দ্বিতীয়তলার ছাদ দিয়ে ভিতরে ঢুকে আলমারি ভেঙ্গে টাকা চুরি করে। অন্য আসামিরা অফিসের ফাইল ক্যাবিনেট ও আলমারির ৫ টি চাবি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে গেছে।