৯ বছরে নবীজির জীবনীগ্রন্থ লিখলেন আল্লামা মাসঊদ

দীর্ঘ নয় বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে রহমতের নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ণাঙ্গ জীবনী লিখে শেষ করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাঊদ। তিনি সিরাতের এই মহান কাজটি সমাপন করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।

সোমবার (২০ জুলাই ২০২০) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে লেখা দুই হাজার পৃষ্ঠার সিরাতগ্রন্থের পাণ্ডুলিপি তুলে দেন পাথেয় পাবলিকেশন্সের কর্ণধার মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুনের হাতে।

আলেম মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও পাথেয় পাবলিকেশন্সের কর্ণধার মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন বলেন, সিরাতের পূর্ণ পাণ্ডুলিপিটি আমি হাতে পেয়েছি। আমার খুবই গর্ব হচ্ছে। আমার সম্মানিত বাবা শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ সিরাতের কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছেন। আমরা যত্নের সঙ্গে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনীগ্রন্থটি প্রকাশের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

দেশ-বিদেশের পাঠককুলের কাছে দোয়ার আহ্বান জানিয়ে মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন বলেন, আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহর মেহেরবানিতে সিরাত বিষয়ক গ্রন্থটি আমরা সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে চাই।

আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাঊদ বলেন, মহামারিকালে আমার প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে অনবদ্য এই সিরাতগ্রন্থটি শেষ করতে পেরেছি। আমার কৃতজ্ঞতার ভাষা নেই। একান্তই আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি ছিল এটি। পৃথিবীতে যারা সিরাত লিখেছেন কেবল তাদের সারিতে দাঁড়াতে চাই। সেই সারিতে দাঁড়াতে পারলেই আমি খুশি।

নবীজিকে লেখা দুই হাজার পৃষ্ঠার সিরাতগ্রন্থটি সম্পন্ন করার অনুভূতি জানতে চাইলে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাঊদ বলেন, আমি যখন সিরাত লিখছিলাম মনে হচ্ছিল আমি হজরত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সঙ্গেই আছি। কাছাকাছি আছি। যখন লিখে শেষ করলাম তখন বিচ্ছেদের বিরহে নিজেকে শোকাতুর মনে হচ্ছিল। আবার আনন্দও হচ্ছে, এত বড় একটি কাজ দীর্ঘ সময়ে লিখে শেষ করতে পেরেছি।