যশোরের চৌগাছার বিপুল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ডিবি পুলিশের

যশোরের চৌগাছার হিজলী গ্রামের বিপুল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। হত্যা অন্যতম আসামি রফিকুল ইসলামকে আটক করেছে। ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে রোববার ৯ আগস্ট রাতে তাকে আটক করা হয়।

সোমবার যশোরের আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মাহাদী হাসান জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন জানান, চৌগাছা উপজেলার হিজলী গ্রামের জামাল হকের ছেলে বিপুল হোসেনের বস্তাবন্দি লাশ গত ৫ জুন সকালে বেড়গোবিন্দপুর মুলিখালী বটতলার রাস্তার পাশের একটি ঝোঁপ থেকে উদ্ধার করা হয়। এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম। বিপুলকে হত্যার পর তিনি পালিয়ে ঢাকায় চলে যান। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও একটি আলমসাধু উদ্ধার করা হয়। এরপর সোমবার আটক রফিকুল ইসলামকে যশোরের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন জানান, রফিকুল আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে বলেন, তার শ্বাশুড়ি হিজলী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আবুশামার স্ত্রী ফুলবানুর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো বিপুল হোসেনের। এরই জের ধরে ফুলবানুর জামাই রফিকুল ইসলাম ও ছেলে সবুজ হোসেনসহ কয়েকজন মিলে তাকে নৃসংশভাবে হত্যা করেন। গত ৩ জুন সকালে দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়। গরু কেনার কথা বলে কৌশলে ডেকে এনে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ বস্তাবন্দি করে বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের মুলিখালী বটতলার রাস্তার পাশের একটি ঝোঁপের পাশে ফেলে রাখা হয়। ৫ জুন সকালে ডিবি পুলিশ সেখান থেকে বিপুল হোসেনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা হলে ডিবি পুলিশ সবুজ হোসেন, ফুলবানু ও তুহিন নামে ৩ জনকে আটক করে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন ফুলবানুর জামাই মামলার অন্যতম আসামি রফিকুল ইসলাম।