করোনা নিয়ে গণভবনে, ডাকের ডিজিকে বরখাস্তে নোটিশ

১৫ আগস্ট উপলক্ষে আগের দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর (এস এস) ভদ্র। কিন্তু তখন তিনি করোনায় আক্রন্ত ছিলেন। করোনা পজিটিভ হওয়ার পরও গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় ডাক বিভাগের মহাপরিচালককে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং এ বিষয়ে কমিটি গঠন করে তদন্তের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিবাদীদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও নোটিশে বলা হয়।

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক এবং আইইডিসিআরের পরিচালককে ই-মেইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এ নোটিশ পাঠান। নোটিশের বিষয়টি গণ্যমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।

নোটিশে বলা হয়েছে, গত ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, ডাটা কার্ড উন্মোচনের উদ্বোধনী কাজে গণভবনে যান সুধাংশু শেখর ভদ্র। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনেক কাছাকাছি অবস্থান করেন। কিন্তু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৬ ধারা অনুযায়ী তার কর্মকাণ্ড একটি অপরাধ এবং উক্ত আইন অনুযায়ী তিনি তার তথ্য গোপন করেছেন যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ১১ আগস্ট আইইডিসিআর করোনা পরীক্ষার জন্য এস এস ভদ্রের নমুনা সংগ্রহ এবং ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই রিপোর্ট তাকে দেয়া হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। কিন্তু রিপোর্টের তথ্য গোপন করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়েছেন যা বেআইনিই শুধু নয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকি বহন করে।

নোটিশে আরও বলা হয়, যেহেতু আগস্ট একটি শোকের মাস। এ মাসে দেশের ইতিহাসে বিভিন্ন বর্বরতম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য বারবার স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আগস্টকে বেছে নিয়ে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি যাওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে দেশবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কেন এবং কোন উদ্দেশ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন সে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া জাতীয় স্বার্থেই প্রয়োজন।