এখন রক ‘স্মেল’ পাচ্ছেন

কয়েক সপ্তাহ আগে কোভিড-১৯’য়ে আক্রান্ত হলেও বর্তমানে সুস্থ আছেন ‘দি রক’ ও তার পরিবার।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেকেই কোনও ধরনের স্মেল পান না বলে জানা গেছে। ওদিকে দি রকের রেসলিং আমলের বিখ্যাত সংলাপ, “স্মেল- হোয়াট দি রক ইজ কুকিং’। এখন কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হলেও সুস্থ হওয়ার পর নিশ্চয়ই ‘স্মেল’ পাচ্ছেন বলে রসিকতায় মেতেছেন তার ভক্তরা।

এদিকে বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হলিউড অভিনেতা ডোয়েন ‘দি রক’ জনসন এক ভিডিও বার্তায় জানায়, সম্প্রতি সে, তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও বর্তমানে তারা সুস্থ হয়ে ভালো আছেন।

ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করা সেই ভিডিও বার্তা থেকে রয়টার্স জানায়, ৪৮ বছর বয়সি জনসন, তার ৩৫ বয়সি স্ত্রী লরেন, তাদের দুই সন্তান ৪ বছরের জ্যাসমিন ও ২ বছরের টিয়ানা সপ্তাহ দুই আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

ভিডিও বার্তায় প্রাক্তন এই কুস্তিগির বলেন, “খুব কাছের পারিবারিক বন্ধুর মাধ্যমে আমরা আক্রান্ত হয়েছিলাম। যদিও জানি না সেটা ঠিক কীভাবে ঘটলো।”

সেই বন্ধুর করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর সব রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও এই অবস্থায় পড়তে হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, “আমার এবং পরিবারের জন্য এই সময়টা ছিল ‘চ্যালেঞ্জিং।”

“আমার দুই কন্যার প্রথমে বেশ কয়েকদিন অল্প গলাব্যথা ছিল। আর আমাদের জন্য সময়টা ছিল বেশ কঠিন।”

“তবে আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি আমরা ভালোমতোই সেরে উঠেছি। আমরা আর সংক্রামক নই। ঈশ্বরের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”

এই অভিনেতা সকলকে মাস্ক ব্যবহারের জন্য জোরালো অনুরোধ করে আরও বলেন, “যখন দেখি কিছু মানুষ এমনকি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও মাস্ক পরা নিয়ে রাজনীতি করছেম তখন আমি বুদ্ধিহারা হয়ে যাই। আসলে মাস্ক পরা জরুরি। সেটা দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন কাজ।”

‘ওয়ার্ল্ড রেসলিং ফেডারেশন’য়ে কুস্তিগির হিসেবে ‘দি রক’ নামে জনপ্রিয় এই তারকার হলিউডে যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালের শেষের দিকে।

‘দি মমি রিটার্নস’, ‘দি স্করপিয়ন কিং’, ‘বেওয়াচ’ এবং ‘জুমাঞ্জি: ওয়েলকাম টু দি জঙ্গল’ ছবি খ্যাত জনসন বর্তমানে হলিউডের শীর্ষ পরিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের একজন।

ডোয়েন জনসন সংগীতশিল্পী ও গীতিকার লরেন হ্যাশিনকে বিয়ে করেন ২০১৯ সালে। আর এই বছরে তিনি কুস্তিগির হিসেবে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন।