শার্শায় ১৭ ঘন্টা পর হ্যান্ডকাপ পরিহিত পলাতক দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

যশোরের শাার্শা সীমান্তে হ্যান্ডকাপ পরাহিত পলাতক দুই আসামিকে ১৭ ঘন্টা পর আটক করেছে পুলিশ। সীমান্তের আমলায় গ্রাম থেকে ফেনসিডিলসহ শামীম ও মামুনকে পুলিশ ১০০ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে অন্য আর একজনকে আটক করতে গেলে ওই দুইজন পালিয়ে যায়। পরে যশোর এ এসপি সার্কেল সহ অতিরিক্ত পুলিশ ও গ্রামবাসীর রুদ্ধশ্বাস অভিযানে তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।

সোমবার রাত ৮ টার সময় শার্শার গোগা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা হলো শার্শার আমালায় গ্রামের রেজাউলের ছেলে শামিম হোসেন (৩০) অগ্রভুলোট গ্রামের অহিদ মোল্যার ছেলে মামুন হোসেন (৩৪) তাদের পালাতে সহযোগিাতার অভিযোগে মোস্তফা কামালের ছেলে সাহাবুদ্দিন ওরফে মোড়ল (২৬) কে আটক করে। এবং মাদকের মালিক হরিষচন্দ্রপুর গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে বিল্লাল হেসেন পুলিশের কাছে আত্মসমার্পন করে।

শার্শা থানার এ এসআই রবিউল ইসলাম জানান, গোগা সীমান্তের আমলায় গ্রামের মাঠের মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মামুন ও শামিমকে আটক করে অন্য আর একজন আসামিকে ধরতে গেলে তারা দুই জন পালিয়ে যায়। মাঠে প্রচুর কাদা থাকার কারনে রাত্রে তারা পালাতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় তাদের নিকট থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়।

গোগা ইউনিয়িন চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, পালানো আসামি আটকের ব্যাপারে পুলিশের পাশাপাশি আমি এবং আমার মেম্বার ও গ্রামবাসী সহযোগিতা করে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, পলাতক আসামীরা তাদের হাতের হ্যান্ডকাপ করাত দিয়ে কেটে গোগা মাঠের মধ্যে একটি গাছের গুড়ির মধ্যে রেখে দেয়। পরে আসামীদের আটক করে হ্যান্ডকাপ ও করাত উদ্ধার হয়।

যশোর নাভারণ সার্কেল এ এসপি জুয়েল ইমরান বলেন, পলাতক আসামীদের ধরতে পুলিশের পাশাপাশি গ্রামবাসি ও সহযোগিতা করেছে। এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হ্যান্ডকাপ ও করাত উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে আদালতে পাঠানো হবে।