ক্ষমা চাইলেন শিশুদের কারাগারে পাঠানো সেই বিচারক

high-court

চার শিশুকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। রবিবার হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে তিনি ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন।

আদালত ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহকে ভর্ৎসনা করেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।

ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বরিশালের বাকেরগঞ্জে গ্রেপ্তার চার শিশুকে ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে ওই বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল।

এর আগে ওই চার শিশুকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তলবে হাইকোর্ট উপস্থিত হন বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ।

বেলা সাড়ে ১১টায় সশরীরে তাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে অভিভাবকসহ ওই চার শিশু ও বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও (ওসি) উপস্থিত থাকতে বলা হয়। সে অনুযায়ী রবিবার সকালে তারা হাইকোর্টে উপস্থিত হন।

আদালত সূত্র জানায়, বিচারক তার খাস কামরায় নিয়ে ওই চার শিশুর বক্তব্য শোনেন।

গত ৪ অক্টোবর বরিশালের বাকেরগঞ্জের রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের এক ব্যক্তি চার ছেলে শিশুর বিরুদ্ধে তার ৬ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। ওই মামলায় ৪ শিশুকে গ্রেপ্তার করে ৭ অক্টোবর আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত ওই শিশুদের যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তার হওয়া শিশুদের বয়স ৯-১১ বছর।

মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৪ অক্টোবর তার ৬ বছর বয়সী কন্যা শিশুটিকে খেলার ছলে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত চার শিশু।

এদিকে চার শিশুর গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় আলোচনার সৃষ্টি হলে হাইকোর্ট রাতেই শিশুদের বাড়ি পৌঁছানোর আদেশ দেন। আদালতের আদেশে রাতেই শিশুদেরকে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।