টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এহসান এস বাংলাদেশের আরো দুই গ্রাহকের মামলা

Jessore map

এহসান এস বাংলাদেশ আরো দুই গ্রাহকের ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার আত্মসাতের অভিযোগে চেয়াম্যান, প্রধান নির্বাহী, জিএম, পরিচালকসহ ২৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে যশোরের আদালতে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

বুধবার যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আফসার উদ্দিন ও বেজপাড়া নলডাঙ্গা এলাকার মৃত হাজী হাবিবুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান খান বাদী হয়ে এ দুটি মামলা করেন।

যশোর সদর আমলী আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগ দুটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন- এহসান সোসাইটির চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম পটিয়া দক্ষিণ গোবিন্দদারখিল আল জামিরিয়ার প্রিন্সিপাল মুফতি আবু তাহের নাদভী, সংস্থার প্রধান নির্বাহী ব্যবস্থাপক মাগুরা সদরের সাজিয়ারা গ্রামের কাজী রবিউল ইসলাম, সংস্থার জিএম মাগুরা সদরের শিমুলিয়া গ্রামের জুনায়েদ আলী, সংস্থার পরিচালক মাগুরা সদরের রাউতলা গ্রামের আজিজুর রহমান, সংস্থার পরিচালক কুষ্টিয়া মিরপুরের লক্ষীধরদিয়াড় গ্রামের মঈন উদ্দীন, সংস্থার পরিচালক খুলনা লবনচরার হরিণটানা রিয়াবাজারের মুফতি গোলাম রহমান, সংস্থার পরিচালক গাজীপুর টঙ্গী খাঁপাড়া সৌদী মসজিদের পাশের বাসিন্দা আব্দুল মতিন, সংস্থার মহাপরিচালক প্রশাসন টঙ্গী ঘুরুলিয়া এহসান সিটির আমিনুল হক, চট্টগ্রাম শহরের জামানকান রোডের কলিমউল্লাহ কলি, সংস্থার পরিচালক ঢাকা তুরাগ থানার নিশাতনগরের মিরাজুর রহমান, সংস্থার পরিচালক খুলনা খানজাহান আলী থানার শিরোমনির মিজানুর রহমান, সংস্থার পরিচালক যশোর সদরের রামনগরের মুফতি মুহাম্মদ ইউনুস আহম্মেদ, সংস্থার পরিচালক খুলনা পাইকগাছার মরল গ্রামের মনিরুল ইসলাম, সংস্থার পরিচালক মাগুরা সদরের শিমুলিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী, সংস্থার পরিচালক যশোর বাঘারপাড়ার ধান্যপাড়ার সামসুজ্জামান টিটু, সংস্থার যশোর শাখার ম্যানেজার মাগুরা সদরের শিমুলিয়া গ্রামের আতাউল্লাহ, কেশবপুরের বেতিখোলা গ্রামের আব্দুল হালিম, সংস্থার মাঠকর্মী যশোর শহরের কারবালা রোডের সিরাজুল ইসলাম সোনামিয়া, সংস্থার এফও কমিটির সভাপতি নতুন উপশহরের এ ব্লকের ৪৭ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা বাঘারপাড়ার খোর্দ বনগ্রামের শামছুর রহমান, সংস্থার এফও কমিটির সেক্রেটারি শেখহাটি জামরুলতলা তারা মসজিদ এলকার বাবর আলী, সংস্থার প্রচার সম্পাদক জামরুলতলার আব্দুল হক, সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক আরবপুর বিমানবন্দর রোডের এসএম সেলিমউল চৌধুরী, সংস্থার এফও অর্থ সম্পাদক মাছ বাজার রোডের খাদেম মোকছেদ আলী, এফও কমিটির সাবেক সেক্রেটারি সদরের রামনগর গ্রামের মুফতি ফুরকান আহম্মেদ, উপশহর ই-ব্লকের আক্তারুজ্জামান, পুলিশ লাইন টালিখোলার মোহাম্মদ আলী ও বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের হাফেজ কামরুল।

বাদীপক্ষের অভিযোগ, আসামিরা সমাজের বড় মাপের আলেম। সুন্নতি পোশাক পরিধানে হাদিস- কোরআনের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে অর্থ আত্মসাৎকারী। আসামিরা যশোরে এহসান সোসাইটি কোম্পানির অফিস খুলে ধর্মীয় লেবাসের লোক নিয়োগ দেয়। এরপর তারা যশোরের বিভিন্ন লোকজনকে অধিক মুনাফা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের কোম্পানিতে টাকা বিনিয়োগ করতে প্রলুব্ধ করে। তাদের কথা বিশ্বাস করে বাদী আফসার উদ্দিন বিভিন্ন মেয়াদে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও বেজপাড়া নলডাঙ্গা এলাকার মৃত হাজী হাবিবুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান খান আটলাখ টাকা জমা দেন। কিন্তু পরে আসামিরা টাকা ফেরত না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। বাধ্য হয়ে তারা আদালতে মামলা করেন।

উল্লেখ, এর আগে গত ১৯ অক্টোবর আট গ্রাহকের ৬২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে এহসান এস বাংলাদেশের এই ২৭ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।