যশোরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরনের চেষ্টাকালে ৬ জনকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ

jessore map

যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামে ফারহানা খাতুন জেরিন (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রী অপহরনের চেষ্টাকালে গ্রামবাসি ৬ অপহরকারিকে ধরে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করেছে। এদের মধ্যে গণপিটুনিতে গুরুত্বর আহত সাহাদকে (২০) আড়াইশ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকা জনক। এদিকে এঘটনায় কোতয়ালি পুলিশ অপহরণ মামলা না নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নিয়েছে। মামলায় আটক ৬ জনকেই আসামি করা হয়।

আসামিরা হচ্ছে যশোর শহরের ঘোপ বৌ বাজার এলাকার আরশাদ আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে কবির, একই এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে কাফ ইউসুফ সরদার,ইনামুল হোসেনের ছেলে ইকরাম হোসেন, মোন্তাজ শেখের ছেলে নাছিম শেখ,ফিরোজ হালদারের ছেলে আল মামুন চাতক ও আবুল হাসানের ছেলে সাহাদ।

যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়ীয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ওরফে কেরুর ছেলে রিপন হোসেন ৩ নভেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে দায়েরকৃত এজাহারে বলেন, তার মেয়ে ফারহানা খাতুন জেরিন (১৭) যশোর আব্দুর রাজ্জাক কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। রিপন হোসেন পেশায় একজন প্রাইভেট চালক। মেয়ে জেরিনের সাথে ফেইসবুকের মাধ্যমে সাজ্জাদ হোসেন কবিরের পরিচয়। কবির জেরিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে জেরিনের পরিবারের পক্ষ থেকে সাজ্জাদ হোসেন কবিরের পরিবারের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। একারণে কলেজে যাওয়া আসার পথে বিভিন্ন সময় আসামি সাজ্জাদ হোসেন রিপন জেরিনকে উত্তক্ত করতো। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ৩ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৮ টায় সাজ্জাদ হোসেন ওরফে কবিরসহ তার সহযোগী ৬ জন রিপন হোসেনের বাড়িতে যায়। সাজ্জাদ হোসেন কবিরসহ তারা সহযোগীরা জেরিনের ঘরে ঢুকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এসময় জেরিন ঘরে লেখাপড়া করছিলো। এমনকি জেরিনকে তাদের সাথে আসতে বলে। জেরিন তাদের সাথে যেতে রাজী না হলে তার চুলের মুঠো ধরে জোর পূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ও শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। জেরিন চিৎকার দিলে তার মা বাবা ও দাদা আশরাফুল ইসলাম কেরু এগিয়ে আসলে সাজ্জাদ হোসেন কবিরসহ সহযোগীরা মারপিট করে। কাফ ইউসুফ সরদার, রিপন হোসেনের পকেটে থাকা নগদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা জোরপূবর্ক কেড়ে নেয়। সাজ্জাদ হোসেন কবির, জেরিনের বাবার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। জেরিন ও তার মা বাবার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে সাজ্জাদ হোসেন কবিরসহ তার সহযোগী সবাইকে আটক করে। পরে তাদেরকে গণপিটুনী দিয়ে রাতেই পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। রিপন হোসেন বাদি হয়ে আসামীদের নাম উল্লেখ করে মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করলে বুধবার ৪ নভেম্বর গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ ও জেরিনকে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে জেরিন তার মা বাবার জিম্মায় আসে।#