‘মহামারী আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে’

sk hasina
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। সামনে এগোনোর পথে নতুন কিছু বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় নেই। সারাবিশ্বেই বিভিন্ন দেশ ও জাতি কোভিড-১৯ সংক্রমণের নতুন ধাপ অতিক্রম করছে। স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও জনজীবনের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।

রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) সই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, মহামারী মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করছে। এই সংকট মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

‘এই অজানা শত্রু মোকাবেলায় ভুটানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ। মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে একযোগে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ভুটানের স্বীকৃতি দেয়ার স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন আমরা শুনলাম ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে এটা এমন একটা অনুভূতি ছিল যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সেই অনুভূতি ছিল উত্তেজনাকর, উৎসাহব্যাঞ্জক ও আনন্দময়। সেই সময় ওই বন্দিশালায় কিছু না থাকায় মেঝেতে বসে ছিলাম। আমরা সব দুঃখ ভুলে গেলাম। আমরা হাসতে, চিৎকার করতে এবং কাঁদতে শুরু করেছিলাম। সেটা আমি কখনও ভুলতে পারব না। সেদিন আমরা দীর্ঘ সময় বন্দি অবস্থায় যে দুর্ভোগে ছিলাম তা ভুলে গিয়েছিলাম।

মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করে রাখার স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন শেখ জামাল বন্দি অবস্থা থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। কিন্তু আমার মা, ছোট বোন শেখ রেহানা, শেখ রাসেল, আমি এবং আমার তিন মাস বয়সী শিশু সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় বন্দি ছিলাম।

এ সময় বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং ভুটান প্রান্ত থেকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী টান্ডি দর্জি উপস্থিত ছিলেন।