যশোরে সাগরের খুনী তারই বন্ধু নয়ন আটক

বন্ধুর হাতে খুন হন যশোর শহরতলীর বিরামপুরের মেহেদি হাসান সাগর। বিস্কুট খাওয়া নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটে৷ ঘাতক আল আমিন ইসলাম নয়ন আটকের পর বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে যশোর শহরের বারান্দিপাড়া খেজুরবাগান এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই সদস্যরা। একই সাথে তার দেয়া তথ্য মতে, হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বার সকালে যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড এলাকায় কাউন্সিলর মোকসিমুল বারী অপুর বাড়ির সীমানা থেকে রাজমিস্ত্রী মেহেদী হাসান সাগরের ক্ষপবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷

ওই ঘটনায় নিহতের বাবা এসকে হানিফ বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় পিবিআইকে।

পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন জানান, পিবিআই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, বিরামপুর পশ্চিমপাড়া ফকিরের মোড় মসজিদ এলাকার আল আমিন ইসলাম নয়ন ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে যশোর শহরের বারান্দিপাড়া খেজুরবাগান এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে বারান্দিপাড়া বটতলা এলাকার মনিরের গবাদি পশুর খামারের ডোবা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।

নয়ন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সাগরের সাথে ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব ছিল। তারা সবসময় একসাথে চলাফেরা করত। গত ৭ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে বিস্কুট খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নয়নের মাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সাগর। স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে ওই সময় বিষয়টি মীমাংসা হলেও নয়ন ক্ষোভ মেটাতে সাগরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নানা প্রলোভন দেখিয়ে সাগরকে ঘোপ জেলরোডে অপু কাউন্সিলরের বাড়ির পশ্চিমপাশে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন আরো জানান, নয়ন আজ (বুধবার) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।