যশোরে ছিনতাই-চুরি : আটক ২

মন্দিরের বারান্দায় গাঁজা সেবন করতে নিষেধ করায় সংঘবদ্ধ গাঁজা খোরেরা মিঠুন দেবনাথ (৩০) নামে এক যুবককে মারপিট করে নগদ ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ গাঁজাখোর সন্ত্রাসী হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার জংগলবাধাল গ্রামের মৃত আবু হানিফ মোল্যার ছেলে।

যশোর সদর উপজেলার জংগলবাঁধাল গ্রামের জিতেন দেবনাথের ছেলে আনন্দ দেবনাথ শুক্রবার ১১ ডিসেম্বর সকালে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ওই এলাকার বিষ্ণু দেবনাথের ছেলে চন্দন দেবনাথ, শহিদুল ইসলামের ছেলের রাশেদ ও মৃত আবু হানিফ মোল্যার ছেলে হাফিজুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন এলাকার মন্দিরের বারান্দায় গাঁজা সেবন করে। মন্দিরে গাঁজা সেবন করতে মিঠুন দেবনাথ নিষেধ করায় গাঁজা খোরেরা সংঘবদ্ধ হয়ে মিঠুন দেবনাথকে মারপিটের সুযোগ খুঁজতে থাকে।

১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে মিঠুন দেবনাথ তার মটরসাইকেল যোগে জংগলবাধাল স্কুল মাঠ হতে বাড়ি ফিরছিল। সকাল সাড়ে ৯ টায় জংগলবাঁধাল গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার বাড়ির উত্তর পাশের্ মাটির রাস্তায় পৌছালে উক্ত আসামীরা তার মটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় চন্দন দেবনাথ মিঠুন দেবনাথকে মারপিট শুরু করে। চন্দন দেবনাথের সহযোগী রাশেদ ও হাফিজুর রহমানসহ তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা লোহার রড দিয়ে মারপিট পূর্বক চন্দন দেবনাথের পকেটে থাকা নগদ ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় লোকজন ঘটনা দেখে এগিয়ে আসলে মিঠুন দেবনাথকে ছেড়ে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ এজাহার নামীয় আসামী হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।

অন্যদিকে মসজিদের ইমামের চুরি করে পালাবার সময় উক্ত ইমামসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চোর হানিফ হোসেনকে স্থানীয় লোকজন ধর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ইসহাক আলী হাওলাদারের ছেলে।

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের আরজ আলীর ছেলে বর্তমানে যশোর কাশিমপুর উত্তর পূর্ব পাড়া মসজিদের ইমাম আব্দুল মোমিন বৃহস্পতিবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৫ টায় তার নিজস্ব সবুজ রংয়ের হিরো বাইসাইকেল যার মূল্য ৮ হাজার টাকা । তিনি উক্ত সাইকেল কাশিমপুর উত্তর পূর্ব পাড়া মসজিদের বারান্দায় তালা মেরে মাগরিবের নামাজ পড়াতে যান। নামাজ পড়ানো শেষ করে ৫ টা ৫৫ মিনিটে বারান্দায় এসে দেখেন তার রাখা বাইসাইকেল নেই। তিনি স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে সন্ধ্যায় সোয়া ৬ টায় নওয়াপাড়া ইউপিন মধুগ্রামস্থ জনৈক জিল্লুর রহমানের মুদী দোকানের সামনে অবস্থানের সময় হঠাৎ দেখতে পান বাইসাইকেলটি চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য হানিফ হোসেন দ্রুত চালিয়ে আসছে। ইমাম আব্দুল মোমিসহ স্থানীয় লোকজন চলন্ত সাইকেল থেকে হানিফ হোসেনকে আটক করে কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করেন। শুক্রবার সকালে হানিফ হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।