২৩ ডিসেম্বর কমরেড আবদুল হকের জন্মশতবার্ষিকী পালন করবে গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট

আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা কার্যালয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের যশোর জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলা সহ-সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এক কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি চৌধুরী আশিকুল আলম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ শফিকুর জালাল নান্নু, সহ-সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণা সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সমীরণ বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. আহাদ আলী লস্কর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা পারভীন, কৃষক সংগ্রাম সমিতির জেলা সহ-সভাপতি সোহরাব উদ্দিন মাস্টার, আবু বক্কার সরদার, প্রচার সম্পাদক জগন্নাথ বিশ্বাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক পরিতোষ দেবনাথ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা প্রচার সম্পাদক আইয়ুব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান রাজেস, নাজমুল হুসাইন, আতিকুর রহমান জিহাদ, হিরণ লাল সরকার, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক পারভীন সুলতানা, জাতীয় ছাত্রদলের জেলা আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ও মধুমঙ্গল বিশ্বাস প্রমুখ।
পরিচালনা করেন ফ্রন্টের জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক কামরুল হক লিকু।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কমরেড আবদুল হক উপমহাদেশ তথা এ দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলন মহান দৃষ্টান্তস্থাপনকারী এক উজ্জল নক্ষত্র। আমরা প্রতিবছর ২২ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার মধ্য দিয়ে তাঁর বিপ্লবী ও সংগ্রামী জীবন, তাঁর বিপ্লবী অবদান ও মহান শিক্ষাসমূহকে সামনে তুলে ধরি। এ বছর ২৩ ডিসেম্বর তাঁর জন্মের একশত বছর পূর্ণ হওয়ায় আমরা তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী পালন করছি। সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের শোষণ-লুন্ঠন ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে শ্রমিক, কৃষক, জনগণকে মুক্তি অর্জন করতে হলে শ্রমিক শ্রেণীর পার্টির বিপ্লবী নেতৃত্ব ও নেতা ভিন্ন তা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে একজন দৃঢ়, আপোষহীন, মার্কসবাদী-লেনিনবাদী নিঃস্বার্থ-নিবেদিত প্রাণ মহান বিপ্লবী নেতা হিসেবে কমরেড আবদুল হকের মত নেতার আবশ্যিকতা, প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা সামনে আসে। সমগ্র বিশ্বব্যাপী ও দেশব্যাপী অগ্নিগর্ভ বস্তুগত বিপ্লবী পরিস্থিতি বিদ্যমান। সুতরাং সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করা অগ্রণী কর্তব্য। তাই বিপ্লবী পতাকাবাহী কমরেড আবদুল হককে তুলে ধরার লক্ষ্যে এই জন্ম শতবার্ষিকী পালনের গুরুত্ব অপরিসীম।

একই সাথে ২৮ ডিসেম্বর কমরেড হেমন্ত সরকারের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় নড়াইলে পালনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়।