যশোরে বাকীতে মুরগি দিতে না চাওয়ায় কর্মচারীকে মারপিট

jessore map

শহরের ঘোপ জেল রোড বেলতলা এলাকায় হঠাৎ করে মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকায় মাস্তানী করে নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মারপিট করে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। ভয়ে কেউ টু শব্দ করতে সাহস পাচ্ছেনা। রোববার রাতে ওই এলাকায় গড়ে ওঠা একটি পোল্ট্রির দোকানে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মাস্তানী করে দোকান হতে জোর পূর্বক মুরগী বাকীতে নিয়ে কর্মচারীকে বেধড়ক মারপিট করে বুক ফুলিয়ে ঘোরা ফেরা করছে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ বাদি হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় প্রতিকার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন।

যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড বেলতলার বাসিন্দা মৃত শেখ ইদ্রিস আলীর ছেলে হারুন অর রশীদ সোমবার ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে তিনি বলেছেন, তার জেলরোড বেলতলা জামে মসজিদ মোড়ে একটি পোল্ট্রির দোকান রয়েছে। সেখানে পোল্ট্রি মুরগী বিক্রয় করে থাকেন। তার দোকান দেখার জন্য জেলরোড বেলতলার জাহিদ হোসেনের ছেলে জুম্মান হোসেনকে কর্মচারী হিসেবে রেখেছেন। রোববার ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০ টায় হারুন অর রশিদ দোকানে না থাকার সুযোগে কর্মচারী জুম্মান হোসেন থাকা অবস্থায় জেল রোড বেলতলার দাদন মুন্সীর ছেলে জব্বার, সহযোগী আইয়ূব হোসেন, রুহুল আমিন এসে ৯টি মুরগী ক্রয় করে। যার ওজন ২০ কেজি ১শ গ্রাম, মূল্য ২ হাজার ৪শ টাকা। উক্ত সন্ত্রাসী মাস্তানেরা ১ হাজার টাকা জুম্মানের কাছে দিয়ে ১ হাজার ৪শ টাকা বাকী করে পরে দেওয়ার কথা বলে জানায়। কর্মচারী জুম্মান হোসেন তাদেরকে বাকীতে মুরগী দিতে রাজী না হলে জুম্মানকে উক্ত সন্ত্রাসী ও মাস্তানেরা এলোপাতাড়ী মারপিট শুরু করে। জুম্মান হোসেন প্রতিবাদ জানালে তাকে হত্যার হুমকী দিয়ে ও দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকী দিয়ে জোর পূর্বক বাকী হিসেবে নিয়ে চলে যায়। স্থানীয়ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে, জব্বার, আইয়ূব হোসেন ও রুহুল আমিনসহ ওই এলাকায় একটি সন্ত্রাসী ও মাস্তান গ্রুপ জেল রোডস্থ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাদাবীসহ নানা অত্যাচার ও মারপিটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার হুমকী দিচ্ছে। এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদেরকে দ্রুত ভাবে আটক না করলে ওই এলাকায় বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভবনার আশংকা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী।

হারুণ অর রশিদের দায়েরকৃত অভিযোগ কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত তাসমীম আলম উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইফুল মালেককে ঘটনার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।