কোভিড-১৯: দেশে শনাক্ত রোগী ৫ লাখ ছুঁই ছুঁই

coronavirus

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ২৬৭ জন। শনিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ২৬৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬০ জন হয়েছে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ২৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯৮৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬০১ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

১০ মাস পর গত ২৬ অক্টোবর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ পেরিয়ে যায়। তারপর রোগীর সংখ্যা ১ লাখ বাড়তে লাগল ২৪ দিন।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বাধিক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৩টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ২৯টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৬০টি ল্যাবে ১২ হাজার ৩০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৪টি নমুনা।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ লাখ ৪১ হাজার ২৪২ টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ২১ হাজার ১২২টি।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ আর নারী ৮ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন করে মোট ২ জন রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের এবং ২ জন করে মোট ৪ জন খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ২৪২ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৫২২ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭২০ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৯২৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৮৫২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৫২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৬৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৭ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৩ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৫৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৪৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪২৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫১৬ জন খুলনা বিভাগের, ২৩১ জন বরিশাল বিভাগের, ২৮৩ জন সিলেট বিভাগের, ৩২৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৫৮ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।