যশোরে যাত্রীবাহী বাস উল্টে মাদরাসার দুই ছাত্র নিহত আহত ২০

যশোর-মাগুরা সড়কের হুদারাজাপুর ব্রিজের কাছে যাত্রীবাহী বাস উল্টে দুই মাদরাসা ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ২০জন। তাদের মধ্যে ৫জনের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার লাউড়ী গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (১৭) ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বসতপুর গ্রামের সরাফাত মোল্যার ছেলে শাহিন হোসেন (১৬)। দুই জনই হুদারাজাপুর হামিউস সুন্না কওমি মাদরাসার ছাত্র৷

যশোর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি মাগুরা থেকে যশোরের আসছিলো। দুপুর আড়াইটার দিকে বাসটি যশোর সদর উপজেলার হুদারাজাপুর ব্রীজ নামক স্থানে পৌছলে অপর একটি গাড়িকে পাশ দিতে গিয়ে রাস্তার নিচে নেমে যায়। এরপর চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।

তিনি আরো জানান, বাসটিতে ৩০/৩৫জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ২০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাদের মধ্য ৫জনকে গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অনেকে সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এনাম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনায় আহত ২০ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে আনার পথেই মারা গেছেন। অন্যজন চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে৷ বাকিদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তাদের মধ্যে ৫জনের অবস্থা আশংকাজনক৷

নিহতদের লাশ হাসপাতাল মর্গে আছে৷

নিহতদের সহপাঠি মাহাবুব জানান, শনিবার দুপুরে তারা ৫টি বাইসাইকেল যোগে যশোর সদর উপজেলার জগমহনপুর গ্রামে দাওয়াত খাওয়ার জন্য যাচ্ছিল৷ এ সময় যশোরগামী একটি পরিবহন পিছন থেকে এসে উল্টে নিহতদের গায়ের উপর পড়ে৷ তারা সহ বাসের মধ্য থাকা ২০যাত্রী আহত হয়৷ স্থানিয়রা ও ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ এ সময় মেহেদি হাসান ও শাহিন নিহত হয়৷

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুইজন মারা গেছে৷ ১৯/২০জন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে৷