যশোর হুদারাজাপুর মোড়ে দু’সপ্তাহে ৪ মৃত্যু : গতিরোধকের দাবিতে সড়ক অবরোধ

যশোর সদরের হুদা-রাজাপুর মোড়ে আবারও সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক শিক্ষার্থী ছেলে আহত হলেও আরোহী পিতার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, যশোর থেকে আসা দ্রুতগামী একটি কাভার্ডভ্যান হুদা-রাজাপুর মোড়ে পৌঁছালে বিপরীতমুখী মটরসাইকেলের (যশোর-ল-১২-৭৫১৯) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মটরসাইকেলের চালক সদরের চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের খিতিবদিয়ার জাফর হোসেন (২০) গুরুতর আহত হয় এবং তার পিতা নয়ন মোল্যা (৫২) ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত জাফরকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম মিলন জানান, পিতা-পুত্র দু’জনে বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা এলাকায় একটি ভাটায় ইট কিনতে এসেছিল। ফেরার পথে তারা মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার শিকার হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি আটক করা যায়নি। দুর্ঘটনার পরপরই দ্রুতগতিতে সেটি মাগুরার দিকে পালিয়ে যায়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন ওই মোড়ে স্প্রীড ব্রেকারের দাবীতে যশোর-মাগুরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। প্রায় দু’ঘন্টার এ অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের দু’প্রান্তের প্রায় তিন কিলোমিটায় পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুরপাল্লার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। পরে বেলা ১টার দিকে সদর উপজেলার ইছালী ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে প্রশাসনের সাথে কথা বলেন। কথা শেষে এক সপ্তাহের মধ্যে স্প্রীড ব্রেকার তৈরি করা হবে বলে আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর যশোর-মাগুরা মহাসড়কের ওই স্থানে যাত্রীবাহী উল্টে দু’জন মাদরাসা শিক্ষার্থী নিহত ও অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়। এর আগে ১২ ডিসেম্বর দ্রুতগামী দেশ ট্রাভেলস পরিবহনের একটি বাসের চাকায় পৃষ্ট হয়ে মটরসাইকেল চালক এক কলেজ শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলেই মারা যান।