নৌকার বিরুদ্ধে কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না : শেখ পরশ

সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বনানীস্থ কড়াইল এরশাদ স্কুল মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে গরীব অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল যে, একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলার নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষ মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে। বঙ্গবন্ধু গরীব-দুঃখী মানুষকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন, তাদের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে আপোষ করেন নাই, মাথানত করেন নাই। তিনি আরও বলেন-বঙ্গবন্ধু আমাদের শিক্ষা দেয়, দেশপ্রেমের, অপরিসীম সাহসের, আদর্শিক চরিত্রের। এই শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে আমাদের যুবলীগ সর্বদা গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। করোনা মহামারীতে বিনা পারিশ্রমিকে কৃষকের ধান কেটে দেওয়া, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত লাশের দাফন করা, কর্মহীন মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা পৌছে দেওয়া, ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ নানা ধরণের জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে যুবলীগ। এই করোনা মহামারীতে আমরা প্রায় ৪৩ লক্ষ অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছি। যুবলীগের এই সাফল্যের অনুপ্রেরণার নাম জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন-এই নির্বাচনের সময় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকার পক্ষে কাজ করে যাবে। নৌকার বিরুদ্ধে কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না এবং তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত এই কড়াইল বস্তিবাসী বিএনপি-জামাতের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তারা বস্তিবাসীকে জিম্মি করে মাদকের আস্তানা গড়ে তুলেছিল। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অত্যন্ত প্রিয় এই বস্তিবাসীর ওপর যদি কোন আঘাত আসে তাহলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তিনি যুবসমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই বস্তিতে মাদক থাকবে না, এই বস্তিতে সন্ত্রাস থাকবে না। মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর যেন কোন মায়ের সন্তান মাদক নেশায় ধ্বংস হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের।

আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীম, সহ-সম্পাদক আব্দুর রহমান জীবন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।