যশোরে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা

mamla rai

দাবিকৃত যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী এমএম আক্তার হোসেন ওরফে বিপুলের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার মুক্তিপাড়া কোর্ট রোড ডাচ বাংলা ব্যাংকের বিপরীত মৃত এমএম জাহিদ হোসেনের ছেলে।

যশোর শহরের ৮৪/এ,এইচএমএম রোড লোন অফিস পাড়ার একেএম মনছুর আলীর মেয়ে আফসানা ইয়াসমিন বৈশাখী সোমবার (১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে দায়েরকৃত মামলায় বলেছেন, বিগত ১৪ এপ্রিল ২০১৪ সালে বিপুলের সাথে বৈশাখী বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী বিপুল ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতন শুরু করে। বিপুলের সাথে ঘর সংসার করাকালে বৈশাখী দুই মেয়ের জননী হয়। যৌতুকের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে বৈশাখীর পিতা মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিপুলকে নগদ ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও সংসারের আসবাবপত্রসহ ৫ লাখ টাকা প্রদান করে। এরপর পুনরায় ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বৈশাখীর উপর নির্যাতন শুরু করে। যৌতুকের টাকা না দিলে তাকে নিয়ে ঘর সংসার করবে না বলে জানায়। এমনকি বৈশাখীকে হত্যার হুমকী দেয়া হয়। গত এক মাস আগে বিপুল যৌতুক আনার জন্য স্ত্রী বৈশাখীকে তার পিতার দেওয়া যশোর শহরের লোন অফিস পাড়ার বাড়িতে দুই কন্যা সন্তানসহ পাঠিয়ে দেয়। সেখানে বসবাসের এক পর্যায়ে বৈশাখীর পিতা-মাতা বিপুলকে বিষয়টি মীমাংসা করে নেয়ার জন্য যশোর শহরের বাড়িতে আসতে বলে। গত ২৫ জানুয়ারী দুপুর ১ টায় স্বামী বিপুল বৈশাখীর পিতার দেওয়া বাড়িতে এসে যৌতুকের ৫ লাখ টাকা দাবি করে। দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারপিট করে জখম করে। পরে বিপুল বৈশাখীকে হত্যার হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বৈশাখী যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করে।