যশোরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মা ও ছেলের উপর হামলা

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নে সৈয়দপুর গ্রামে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।

আহতরা হলেন সৈয়দপুর গ্রামের শাহাদালী বিশ্বাসের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও বড় ছেলে আকরাম হোসেন। বর্তমানে তারা যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গত সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় তাদের বাড়িতে চালানো হয়েছে।

রোকেয়া বেগমের মেজো ছেলে উজ্জ্বল হোসেন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সৈয়দপুর গ্রামের তোফাজ্জেল সরদারের ছেলে হারুন-অর-রশিদ একদল সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে রাত সাড়ে ১১ টার সময় তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তার বড় ভাই আকরাম হোসেন ও মা রোকেয়া বেগমকে পেয়ে প্রথমে দেখে মারপিট শুরু করে। পরিবারের অন্য সদস্যরা সন্ত্রাসীদের দেখে প্রাণ রক্ষার্থে পালিয়ে যায়। তারা রামদা, বার্মিজ চাকু, চাইনিস কুড়াল, হাতুড়ি ও রড় দিয়ে আঘাত করেছে। তার ভাইয়ের হাত, পা, মাথা, বুকে, পিঠে আঘাত করা হয়েছে। শরীরের একাধিক স্থানে কুপানো হয়েছে। তার মায়ের মাথায় মাথা, বুকে, পিঠে কুপিয়ে ক্ষত করে দিয়েছে। হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে হামলায় অংশ নেন সৈয়দপুর গ্রামের আলতাফ মন্ডলের ছেলে কবির হোসেন, আতিয়ার রহমানের ছেলে শিপন হোসেন, মাজেহারের ছেলে সাইফুল ইসলাম, মোসলেম আলীর ছেলে জুলকান নাঈম, রায়হান উদ্দিনের ছেলে রাসেল, রফিদ্দিন সরদারের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন, দুলাল হোসেনের ছেলে এনামুল, ওমর আলীর ছেলে আসাদুল, আক্ক্াস আলীর ছেলে শাহীন ও আমিনুর, কোটালিপুর গ্রামের আতাহারের ছেলে নাজমুল, আইজদ্দিনের ছেলে শরিফুল ও ওসমান গাজীর ছেলে আব্দুল।

ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সোবহানুল আলম বাবু বলেন, হারুন-অর-রশিদ মূলত জামায়তের নেতা। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র শিবির করতেন। নতুন করে এখন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের তিনি নির্যাতন করছেন। প্রতিশোধ নিচ্ছেন। এ হামলাটা হলো তার বড় প্রমাণ।