সেই পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

papia lig

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৬ কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান কমিশনের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

গত বছরের আগস্টে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পরে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজকে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, নরসিংদী যুব আওয়ামী মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া, তার স্বামী মো. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের পরস্পর যোগসাজশে জ্ঞাতসারে অপরাধলব্ধ আয়ের দ্বারা অর্জিত ৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকা অবৈধ সম্পদ বলে প্রতীয়মান হয়েছে, এবং এই সম্পদ ভোগ দখলে রেখেছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের করে এই দম্পতি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক।

গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে পালানোর সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া, তার স্বামী ও দুই সহযোগীকে আটক করে র‌্যাব-১ এর একটি দল।

এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলংকা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়।

এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে নরসিংদীর এই জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আলোচিত এই দম্পতির বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে।