যশোরে গৃহবধু হত্যার ঘটনায় মামলা

jessore map

যশোর শহরের চাঁচড়া রেলগেট তেতুলতলা ইসমাইল কলোনিতে আইরিন পারভিন ওরফে রিনি (৩৫) নামে এক গৃহবধু হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহত গৃহবধুর ভাই শহরের বারান্দিপাড়া খালধার রোডের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে শাহাবুদ্দিন (৬০) বাদি হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে মামলা করেন।

মামলায় নিহত গৃহবধুর স্বামী বেজপাড়া পিয়ারি মোহন রোড শহীদ মাহফুজ সড়কের মৃত সৈয়দ মিজানুর রহমান কবুর ছেলে সৈয়দ মইনুল হাসান পিয়াসকে (৪০) আসামি করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আইরিন পারভিনের সাথে ১২/১৩ বছর আগে বেজপাড়া তালতলা মোড়ের আব্দুর রউফ মৃধার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিয়ে হয়। তাদের গর্ভে নুর আফরিন জান্নাতি (৯) নামে একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে। আমার বোনের স্বামী ১৯ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি মারা যাওয়ার পর এক বছর আগে সৈয়দ মইনুল হাসান পিয়াসের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মইনুল হাসান আমার বোনকে শারীরিক মানষিক ভাবে নির্যাতনসহ মারপিট ও খুন জখম করার হুমকি প্রদান করে আসছে। আসামি মইনুল আমার বোনকে ঠিক মতো ভরন পোষন দিতো না। বিয়ের পর মইনুল আমার বোনকে বিভিন্ন ভাড়া বাসায় নিয়ে বসবাস করতো। সর্বশেষ রেলগেট তেতুলতলা ইসমাইল কলোনীর আব্দু রউফের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। ৯ ফেব্রুয়ারি-২০২১ আমার বোনের প্রথম স্বামীর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শ্বাশুড়ি বকুল খাতুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে শ্বাশুড়ি বকুল খাতুন ওই বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন। পরের দিন ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ টার দিকে সকলের সাথে কথা বলে বকুল খাতুন চলে যান। পরবর্তীতে আমার ভাগ্নি নুর আফরিন জান্নাতি তার দাদি ও আমার বোন করিমুন্নেছাকে মোবাইলে জানায় আমার মা কথা বলছে না। নাক, মুখ দিয়ে ফ্যানা বের হচ্ছে। এ খবর পেয়ে আমার বোন করিমুন্নেছা, শ্বাশুড়ি বকুল খাতুন ও মুক্তা পারভিন মীম রেলগেট তেতুলতলা ইসমাইল কলোনির বাড়িতে যেয়ে দেখেন আসামি মইনুল বাড়ি নেই। আইরিন অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তার মুখ দিয়ে ফ্যানা বের হচ্ছে। গলায় কালচে দাগ। এই অবস্থায় তারা আইরিনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। আসামি মইনুল আমার বোনকে ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১ টা ৫ মিনিটের মধ্যে যে কোন সময় শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সাইদুর রহমান জানান, আসামি এখনো আটক হয়নি। আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।