যশোরের রুদ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক কারাগারে

যশোর সদর উপজেলার রুদ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি সরকারকে স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ ও নানা দূর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মামলার ধার্যদিনে হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হুসাইন জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মৃণাল শহরের বেজপাড়া এলাকার শশীভূষন সরকারের ছেলে।

এর আগে স্কুল কমিটির দাতা সদস্য ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য রুদ্রপুর গ্রামের লুৎফর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি সরকারসহ প্রতারণার মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক সদর উপজেলার গোয়ালদহ গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে এ কে এম সামছুল আলম ও মণিরামপুর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের তারিফ মোড়লের ছেলে মুনজুর রহমানকে আসামি করা হয়।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি সরকার যোগদানের পর থেকেই স্কুলের সাধারণ শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের অগোচরে নানা ধরনের অবৈধ কর্মকান্ড শুরু করেন। তার মধ্যে দুইজন শিক্ষককে জালিয়াতি করে নিয়োগ দেন। পরে ওই দুইজনকে সরকারি বেতনের আওতায় আনার সময় তার গোমর ফাঁস হয়। একে একে তার দূর্নীতির সব কিছু সামনে উঠে আসে। পরে স্কুলের স্বার্থ রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন।

আদালতের আদেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে অভিযোগের সতত্যা উঠে আসে। পরে আদালতে হাজির হলে মৃণাল কান্তি সরকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ, শুধুই তাই নয়, এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের চার লাখ ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরো একটি মামলা আদালতে চলমান। সেটাও পিবিআই তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন। এ শিক্ষকের নানা মূখী অত্যাচারে স্কুলের সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকাবাসী স্কুলের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।