‘জিয়ার খেতাব বাতিলের চেষ্টা বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করার শামিল’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের চেষ্টা আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মান করা একই কথা বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের চেষ্টা করে সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মান করছে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নতুন গ্রন্থ ‘করোনাকালে বাংলাদেশ’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দি ইউনিভার্সেল একাডেমি।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকার হঠাৎ জিয়াউর রহমানকে দেয়া মুক্তিযুদ্ধের সম্মানসূচক পদবি অপসারণের চেষ্টা করছে। মুক্তিযুদ্ধে সাহসী অবদান ও কৃতিত্বের জন্য জিয়াউর রহমানকে এই পদবি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ জিয়াউর রহমানকে দেয়া সে পদবি অপসারণের চেষ্টা করে সরকার বঙ্গবন্ধুকেই অপমান আর অসম্মান করছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আল জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং ভারতের ‘র’ জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের সম্মানসূচক উপাধি অপসারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড পাগলামির নামান্তর বলে আমি মনে করি।

ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, পুরনো একটি আইনের ৪০১ ধারার ব্যবহার করে সেনাপ্রধানের দুই ভাইকে অবমুক্তি দেয়া হয়েছে। যাদের সাজা হওয়ার পূর্বেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ থেকে এ পর্যন্ত আমাদের দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।

প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বিএমএ’র মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।