যশোরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে রিকশা চালক জখম

jessore map

যশোরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা জিহাদ (১৬) নামে এক রিকশা চালককে ছুরিকাঘাতে গুরুত্বর জখম করেছে। এ ঘটনায় জিহাদের পিতা উপশহর সারথি মোড় মিন্টুর বাড়ির ভাড়াটিয়া গোলাম সরোয়ার (৫৫) শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।

মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হচ্ছে বাঘারপাড়া উপজেলার আনেয়ার হোসেনের ছেলে বর্তমানে উপশহর আমতলা বস্তি ডিগ্রি কলেজের পিছনে শাহিন (২২) খুলনা জেলার রুপসা নৈহাটি গ্রামের বর্তমানে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর (বিরামপুর ভাটাপাড়া নিজাম মৌলভীর বাড়ির ভাটাটিয়া মোহম্মদ নাজমুলের ছেলে মামুন (২৭) পাগলাদাহ মাঠপাড়া বর্তমানে বিরামপুর ভাটাপাড়ার মৃত মজনুর ছেলে মুন্না হোসেন (২৪) পাগলাদাহ মাঠপাড়া গ্রামের মৃত শাহেদুলের ছেলে মোঃ সাত্তার (২০) ও বাহাদুরপুর পশ্চিমপাড়া বর্তমানে উপশহর আমতলা বস্তি ডিগ্রি কলেজের পিছনে মৃত আনারুল ইসলাম আনারের ছেলে রিয়াজ হোসেন ওরফে হৃদয় (২৪)।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সন্ত্রাসী, মাদক বিক্রেতা ও ছিনতাইকারি। এরা সংঘদ্ধ ভাবে সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড, মারপিট, খুনজখম ও চুরি ছিনতাই করে বেড়ায়। আমি একজন অতিদরিদ্র লোক। আমার একটা পা নাই। আমার ছেলে জিহাদ রিকশা চালিয়ে জীবকিা নির্বাহ করে। অনুমান ২/৩ দিন আগে মোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে আসামিদের সাথে আমার ছেলে জিহাদের বাকবিতন্ডা হয়। ঘটনাটি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানালে আসামিরা আমার ছেলে জিহাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। আসামিরা আমার ছেলে জিহাদকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলো। ১৯ ফেব্রুয়ারি আমার ছেলে রিকশা চালানো শেষে পায়ে হেটে বাড়ি ফিরছিলো। বাড়ি ফেরার সময় রাত আনুমানিক সোয়া ৯ টার সময় উপশহর সারথি মোড়ে পৌঁছুলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আসামিরাসহ অজ্ঞাত নামা আসামিরা আমার ছেলে জিহাদের উপর আক্রমন চালায়। আসামি শাহিন ধারালো চাকু দিয়ে আমার ছেলের বামনিতম্ভে আঘাত করে রক্তাত্ত জখম করে। আসামি মামুন আমার ছেলের গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে ও পকেট থেকে ৭ শ ৪৫ টাকা নিয়ে নেয়। আসামি মুন্না জিহাদের কাছ থেকে একটি টার্চ মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। জিহাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আসামিরা পরে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।