সৌদি আরবে ‘ল্যান্ডিং পারমিশন‘ মিলেছে

সৌদি আরবে ফ্লাইট ল্যান্ডিংয়ের অনমুতি মিলেছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রিয়াদের উদ্দেশে বিশেষ ফ্লাইট রওনা দিয়েছে। পাশাপাশি ওমানের মাস্কাটে ও দুবাইয়ে রওনা হয়েছে বিশেষ ফ্লাইট। সব মিলিয়ে আজ ১২টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালিত হওয়ার কথা রয়েছে।

গতকাল শনিবার সৌদি আরবের রিয়াদ ও দাম্মামে বিশেষ ফ্লাইট ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি না পাওয়ায় সিডিউল বিপর্যয় ঘটে। অর্ধেক ফ্লাইট বাতিলও হয়। এতে বিপাকে পড়েন প্রবাসীরা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের উপমহাপরিচালক তাহেরা খন্দকার বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় আগে থেকে অনুমোদন ছিল, কিন্তু রিয়াদ ও দাম্মামে পৃথকভাবে অনুমোদন দরকার হয়। যা পরে মিলেছে।

তিনি বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রিয়াদের উদ্দেশে বিশেষ ফ্লাইট রওনা দিয়েছে। এর পাশাপাশি ওমানের মাস্কাটে ও দুবাইয়ে রওনা হয়েছে বিশেষ ফ্লাইট।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় দিনে কোনো সমস্যা নেই। আজ দাম্মামে বাড়তি একটি ফ্লাইটও যুক্ত হয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দ্বিতীয় দিনে মোট ১২টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালিত হওয়ার কথা। দ্বিতীয় দিনে কোনো ফ্লাইট বাতিল হওয়ার আশঙ্কা নেই।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, সারা দিনে পাঁচটি দেশে ১২টি বিশেষ ফ্লাইটের স্লট নির্ধারিত আছে। এরই মধ্যে তিনটি ফ্লাইট রিয়াদ-মাস্কাট ও দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আজ কোনো সমস্যা নেই। সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। আশা করছি, কোনো ফ্লাইট বাতিল হওয়ার আশঙ্কা নেই।

উল্লেখ্য গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনে সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরাতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারে শতাধিক বিশেষ ফ্লাইট অনুমোদন দেয় সরকার। শনিবার থকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে বিশেষ ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত হয়।

কিন্তু প্রথম দিনেই বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত ১৪টি ফ্লাইটের অর্ধেকই বাতিল করা হয়, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশের পাঁচটি ফ্লাইট ছিল।