অবৈধ উপায়ে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া গোল্ডেন মনির ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলার করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- (সিআইডি)। মঙ্গলবার যেকোনো সময় ডিএমপির বাড্ডা থানায় মামলাটি করা হবে।
মামলায় গোল্ডেন মনিরের স্ত্রী, ছেলে, বোন-ভগ্নিপতি, সিরাজগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, তার ভাইসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় পাঁচমাস তদন্তে সিআইডি তাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে।
গত বছরের ২০ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসায় অভিযান চালিয়ে মনিরকে মাদক ও অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর তাঁর বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। এছাড়া মতিঝিল ও রমনা থানায় মাদকদ্রব্য ও দুদক আইনে আরও চারটি মামলা রয়েছে।
মনির হোসেন বর্তমানে কারাগারে আছেন। এদিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ৪/২, ৪/৩ ধারায় মামলা করা হচ্ছে।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, তদন্তে গোল্ডেন মনিরসহ দশজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তারা একে অপরে যোগসাজশ করে অবৈধ উপায়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন, গোল্ডেন মনির, তার স্ত্রী রওশন আক্তার, ছেলে রাফি হোসেন, মনিরের বোন নাসিমা আক্তার, ভগ্নিপতি মোহাম্মদ হাসান উদ্দিন খান, আরেক ভগ্নিপতি নাহিদ হাসান খান, মনিরের অটোকার সিলেকশনের জিএম আব্দুল হামিদ খান, তার অপরাধ কাজের সহযোগী ও ব্যবসায়ী পার্টনার মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, মোহাম্মদ শফিকুল শফিক ও মোহাম্মদ হায়দার আলি।
অভিযুক্তদের মধ্যে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান আইনে পূর্বে দুইটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থাটি।