সিংগাইরের সাবেক ইউপি সদস্য সাকুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপির কথিত নেতা শাহাজুদ্দিন ওরফে সাকু (৬০) অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী।

জোরপূর্বক বাড়ি ঘর দখল, অন্যের জমির গাছ বিক্রি, চাঁদাবাজি, নিরীহ লোকদের মারধর, দোকানে বাকি নিয়ে টাকা ফেরত না দেয়াসহ কি অভিযোগ নেই উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ভূমদক্ষিণ গ্রামের ইউপি সদস্য ও বিএনপির কথিত নেতা শাহাজুদ্দিন ওরফে সাকুর বিরুদ্ধে।

ভূমদক্ষিণ গ্রামের মৃত শেখ জমশের আলীর ছেলে শাহাজুদ্দিন ওরফে সাকু। চার দলীয় ঐক্য জোটের আমলে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার ক্যাডার হিসেবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের অত্যাচার করেছেন।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কতিপয় সুবিধাভোগী নেতার প্রশ্রয়ে শুরু করে আওয়ামী লীগের কর্মী ও নিরীহ লোকদের ওপর সিমাহীন অত্যাচার। একজন নেতার ছত্র ছায়ায় থেকে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

এর সঙ্গে সহায়ক শক্তি হিসেবে রয়েছে ডাকাত দলের সদস্য ও একাধিক চাঁদাবাজি ও ডাকাতি মামলার আসামি শাহাজুদ্দিন ওরফে সাকু। এতএত অভিযোগ থাকলেও তবে শাহাজুদ্দিন ওরফে সাকু এলাকায় যা- ইচ্ছে তাই করলেও অজানা কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।

স্থানীয় ও মুদি দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভূমদক্ষিণ গ্রামের শতাধিক দোকানদারদের কাছ বাকিতে বাজার নেয় সাকু। অনেকদিন হলেও যখন বাকি টাকা সাকুর কাছে চাইতে গেলেই, সাকু তাদের প্রকাশ্যে জনসম্মুখে মারধর হুমকি দেয়। এলাকার মানুষের কাছ থেকে নানাভাবে টাকা নিয়ে ফেরত না দেয়া, ঘরবাড়ি দখল, চাঁদাবাজি, নির্যাতন, নিরীহ লোকদের মারধরসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একাধিক চাঁদাবাজি ও ডাকাতি মামলার আসামি তার ভয়ে মুখ খুলতে পারে না এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ কর্মী বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করেও আজ আমি উৎকণ্ঠিত। সাকু আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। ভয়ে রাতে বাড়ির বাইরে থাকতে হয় এখন বাড়িতে আসছি। সাকুর অত্যাচারে গ্রামের লোকজন অতিষ্ঠ।

বাড়িঘর ছিনিয়ে নেওয়া জসিম নামের এক ভুক্তভোগী বলেন,আমার বাবা অনেক কষ্ট করে একটু জমি কিনে ঘর করেছিল আমার পরিবারের সবাই সেই বাড়িতে বসবাস করতাম হঠাৎ একদিন সাকু তার দলবল নিয়ে এসে আমার বাবা মাকে অনেক মারধর করে আমাদের থেকে জোরপূর্বক জমি ও ঘর বাড়ি দখল করে নিয়েছে সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপির কথিত নেতা শাহাজুদ্দিন ওরফে সাকু। ঘর বাড়ি ফিরে পাওয়ার জন্য এলাকাবাসীর কাছে বিচার দিলে আমাদের হুমকি-ধমকি দেয়। মেরে ফেলার কথাও বলেছে একাধিকবার। আর আমার বাবা এই কষ্ট সইতে না পেরে স্ট্রোক করে মারা যান আমরা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো কার কাছে বিচার দিব কারো কাছে বিচার দিয়ে বিচার তো পাচ্ছিনা জীবনেও নিশ্চয়তা নেই কখন সাকুর ডাকাত দলের সদস্যরা আমাদেরকে মেরে ফেলে। সরকারের কাছে সাকুর বিচার চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করি। আর সবজি নিয়ে বিক্রি করে সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপির কথিত নেতা শাহাজুদ্দিন ওরফে সাকু। বাধা দিলে মারধর এমনকি নারীদের শ্লীলতার হুমকি দেয়। আমরা সাকুর হাত থেকে মুক্তি চাই।

শুধু এরা নয় সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপির কথিত নেতা শাহাজুদ্দিন ওরফে সাকুর অত্যাচারের হাত থেকে এলাকার কোন নিরীহ লোকজন রক্ষা পাচ্ছে না বলে জানান গোলবার হোসেন। তিনি বলেন,সাকু জামায়াত বিএনপির ক্যাডার ছিল। ওই আমলে আওয়ামী লীগের লোকজনকে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। এখন আওয়ামী লীগের আমলেও সে মাস্তান সাজিয়ে। এই এলাকার ঘরবাড়ি জোর দখল, বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও অসহায় মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি সহ যত ধরনের অপরাধ আছে তা সাকু করে। আমরা এই সাকু র হাত থেকে মুক্তি চাই।শাহাজুদ্দিন ওরফে সাকুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।