‘সীমান্তে ২ সপ্তাহের কঠোর লকডাউন দিতে হবে’

lockdown

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়েছে। কোনো একটি উপজেলায় পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫৯ শতাংশ। যা উদ্বেগের বিষয়।

উপাচার্য বলেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বন্ধে জরুরি ২ সপ্তাহের জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অবশ্যই কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে।

বুধবার উপাচার্য শাহবাগ চত্বরে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে জনগণের মাঝে করোনাভাইরাস প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও জনসচেতনামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা ও শহরগুলোর পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলাগুলোতে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার যোগান নিশ্চিত করতে হবে।

এই মহামারির সময়ে অসহায়, গরিব ও দুস্থ মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে অপেক্ষাকৃত বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান বিএসএমএমইউ উপাচার্য। তিনি আরও বলেন, ঘর থেকে বাইরে বের হলে অবশ্যই সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অপরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহারে মিউকরমাইকোসিস যা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে পরিচিত তাতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।