লকডাউনে নতুন যেসব নির্দেশনা যুক্ত হলো

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলমান লকডাউন আরও ১ মাস বাড়িয়েছে সরকার। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ চলবে।তবে এতে নতুন কিছু শর্ত যোগ করা হয়েছে।

পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে লকডাউন। তার আগেই বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এল।

নতুন শর্তের মধ্যে রয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবসরকারি–বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে। আর ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে স্থানীয় জেলা প্রশাসক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলে কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে লকডাউনসহ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবে।

দেশে এখন করোনাভাইরাসের ‘ডেলটা ভেরিয়েন্টের’ সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় তা ছড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য সারা দেশে চলমান বিধিনিষেধের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় বিশেষ ‘লকডাউন’ চলছে। করোনার এই ধরনের (ডেল্টা ভেরিয়েন্টের) কারণেই ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বহুগুণে বেড়েছে।

এর আগে ৬ জুন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

মার্চের শেষের দিকে দেশের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। এতে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যায়। মার্চের শুরু থেকে প্রথমে গণপরিবহন ও অফিস চালু রেখে লকডাউন দেওয়া হয়। পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। পরে ৬ দফা লকডাউন বা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত ২৩ মে থেকে ৩০ মে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষকে বসিয়ে সেবা দেওয়ার অনুমতি পায়।

বর্তমানে সরকারি বেসরকারি স্বায়ত্বশাসিত অফিস আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিশেষ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকারের নির্বাহী আদেশে সীমিত পরিসরে খোলা রয়েছে।