ভ্যাকসিনের বিষয়ে আলোচনায় দেশে যাচ্ছি: দোরাইস্বামী

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকা যেন এ দেশে সরবরাহ করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা করতে নিজ দেশে যাচ্ছি।

১৮ জুলাই রোববার আখাউড়া স্থলবন্দরে দিয়ে দেশে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাই স্বামী আরো বলেন, ভারতে কোভিড টিকার উৎপাদন বেড়েছে। আমাদের নিজ দেশেও চাহিদাও বেড়েছে। এর মধ্যে ভারতে উৎপাদিত টিকা যেন দ্রুত সময়ের বাংলাদেশকে দেয়া যায় এ বিষয়ে আলোচনা করতে দিল্লি যাচ্ছি।

আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাল কিছু হবে। সকালে নিজ দেশের রাজধানী দিল্লি যাওয়ার পথে আখাউড়া স্থল বন্দরে দুই দেশের শূন্যরেখায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

দোরাই স্বামী বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইনের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কোভিড পরিস্থিতির কারণে মাঝখানে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ রেলপথের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ছে। এক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত করা জরুরি। এজন্যে সড়ক সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করছে। বর্তমানে আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ চার লেন মহাসড়কের নির্মাণ কাজ চলমান আছে। এ কাজগুলো শেষ হলে দুই দেশের অর্থবাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এতে দুই দেশ লাভবান হবে।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী সঙ্গীতা দোরাই স্বামীসহ স্বজনরা। এর এর আগে আখাউড়া স্থলবন্দরে দু’দেশের শূন্য রেখায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মিজানুর রহমানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আগামী ২৩ জুলাই শুক্রবার সকালে তিনি একই পথে তার কর্মস্থল ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এর আগে (২০ জুন) বাংলাদেশকে সেরামের করোনার টিকা দেয়ার বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার। টিকার উৎপাদন বাড়লে এ বিষয়ে অগ্রগতি জানা যাবে জানিয়ে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়াচ্ছি।

ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে। তাই বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বলতে পারছি না। সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার আপডেট বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতীয় হাইকমিশনার ওইদিন আরও বলেন, আমরা টিকা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি, যার জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। সে সময়েই এ বিষয়ে বিবেচনা করা ভালো।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এখনো আলোচনা চলছে। গত ৪ জানুয়ারি ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, তাদের টিকা রপ্তানির ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে অনুমতি পেতে কয়েক মাস লাগতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছিল।