যশোরে স্কুলে কেজি দরে বই বিক্রির ঘটনায় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা

যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের শাখাঁরীগাতী এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশিদের কেজিদরে বই বিক্রির ঘটনায় অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য গত ১৭ আগস্ট ২০২১ যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের শাখাঁরীগাতী এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ বিভিন্ন শ্রেণীর অব্যহৃত প্রায় ২০মণ নতুন বই গোপনে কেজিদরে বিক্রি করে দেন। রূপদিয়া বাজারের ভাংঙ্গাড়ী ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের কাছে।

তিনি ওজন করে প্লাষ্টিকের বস্তায় ভরে ২টি ইজিবাইক যোগে স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আটকে দেয়। সরকারী উপহার বিক্রয় নিষিদ্ধ বই গুলো অভিভাবক ও স্থানীয় শতশত গ্রামবাসীর রোষানলে পড়ে প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ ব্যবসায়ী রাজ্জাকের কাছ থেকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

এঘটনায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশিদের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড তথ্য প্রমান সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে একেরপর একএক অনিয়ম-দূর্ণীতির তথ্য সংবাদিকদের কাছে আসতে থাকায় বিভিন্ন মাধ্যমে নামেন সাংবাদিক ম্যানেজের অপচেষ্টা। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে সাংবাদিক ম্যানেজ করতে ব্যার্থ হয়ে; নামেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দপ্তর ঠিক রাখতে।

নিজেদের ঘটানো বিভিন্ন অপকর্ম ঢামাচাঁপা দিতে অভিভাবক মহল ও স্থানীয়দের বস করতে না পেরে পত্রিকায় প্রকাশীত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের ভিন্ন মতপোষণ করে প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন হারুন-অর-রশিদ।

তিনি প্রতিবাদে উল্লেখ করেছেন গ্রামবাসীর হাতে আটকানো ২টি ইজিবাইকে বই নয়, পরিক্ষার খাতা ছিলো! অথচ এঘটনার দিন সরেজমিনে যেয়ে দেখাযায় বস্তাভর্তি অব্যবহৃত নতুন বই।

বই বহনকৃত ইজিবাইকের চালক, ক্রেতা স্বীকারোক্তি ভিডিও রেকর্ডে দেখাযায় বিভিন্ন শ্রেণীর ২০১৭-২০২০ সালের অব্যবহৃত নতুন বই। অথচ প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে সেগুলো ছেলেমেয়েদের পরিক্ষার খাতা ছিলো। যার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

অনেকটা শাকদিয়ে মাছ ঢাকার মত। এনিয়ে সচেতন মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন গ্রামবাসী।