নড়াইলে বাস চালকের মৃত্যু নিয়ে ধোয়াশা!

নড়াইল শহর সংলগ্ন সীমাখালী এলাকায় সড়কের খাদ থেকে বাস চালক লিয়াকত সিকদারের (৫২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

লিয়াকত সীমাখালী গ্রামের সোহরাব সিকদারের ছেলে। তবে ঘটনার রাতে তিনি মোটরসাইকেল বহরে লোহাগড়া থেকে নড়াইলের দিকে আসছিলেন।

নড়াইল সদর থানার ওসি শওকত কবির জানান, কী কারণে লিয়াকত সিকদার মারা গেছেন; বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত চলছে। সীমাখালী এলাকায় সড়কের একটি খাদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রথমে ৯৯৯ লাইনে ফোন করে জানানো হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তি খাদের মধ্যে পড়ে আছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জানতে পারি, ওই ব্যক্তির নাম লিয়াকত সিকদার।

মোটরসাইকেল বহরে তারা ১৩জন লোহাগড়া থেকে নড়াইলের দিকে আসছিলেন। এর মধ্যে কখন দুর্ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে বহরের লোকজন স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি।

অন্যদের ক্ষেত্রে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে লিয়াকত সিকদারের ছেলে পাভেল অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে সীমাখালী গ্রামের পলাশ-শিমুলসহ তাদের লোকজন হত্যা করেছে। পায়ে কোপের মতো চিহৃ রয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। প্রথম দিকে তার বাবা নড়াইল-কালিয়া সড়কে যাত্রীবাহী বাসের চালক ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা রুটে পরিবহন চালাতেন বলে জানিয়েছেন পাভেল সিকদার।

অপরদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উদ্দেশ্যমূলক ভাবে তাদের কথা বলা হচ্ছে।