যশোরে আইনজীবীর উপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির দুই সদস্যর উপর হামলা, মারপিট, জখম ও টাকা হাতানোর প্রতিবাদে একট্টা হয়েছে যশোরের আইনজীবীরা।

তারই অংশ হিসেবে রোববার তারা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে । প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে মামলার আসামি শ্যামলকে আটকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।

অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুসিয়ারী দেয় তারা। রোববার সকাল ১০ টায় যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনের সামনে থেকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে।

মিছিলটি যশোর শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদিক্ষন করে যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর আদালতের ফটোকের সামনে শুরু হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ ইসহক, শরিফুল ইসলাম মিলন, পিপি এম ইদ্রিস আলী, আমিনুর রহমান হিরু, আবু মোর্তজা ছোট, এম এ গফুর প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম শাহীন। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলাম বলেন, যে মামলাটি রুজু হয়েছে ওই মামলায় আসামি পক্ষে যশোরের কোনো আইনজীবী অংশ নেবে না।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার মধ্যে যদি আসামিকে আটক করা না হয় তাহলে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে।

সমাবেশ শেষে আইনজীবীরা জিউস ও পাভেলের তালাবদ্ধ ঘরের তালা ভেঙে দুই আইনজীবী কাজের সুযোগ করে দেয়। উল্লেখ, দুই আইনজীবীকে মারপিট ও টাকা লুটের অভিযোগে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য শহিদ আনোয়ার পাভেল শনিবার মামলা করেন।

ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে পোস্ট অফিসপাড়ার মৃত মইন উদ্দিনের ছেলে মাসুম আহম্মেদ শ্যামলকে। বাদীর অভিযোগ, ২ সেপ্টেম্বর সন্ধা সাড়ে মাসুমের নেতৃত্বে ৯-১০ জনের একটি দল অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত হয়ে বাদীর অফিসে হামলা চালায়।

সিনিয়র আইনজীবী জিজিউস ও পাভেলকে জখম করে। চেম্বারের ড্রয়ারে থাকা একলাখ ১০ হাজার টাকা আসামিরা ছিনিয়ে নেয় ও চেম্বারে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে আইনজীবীরা রোববার ওই তালা ভেঙ্গে জিউস ও পাভেলকে অফিসে প্রবেশ করিয়ে কাজের সুযোগ করে দেয়।