যশোর শিক্ষাবোর্ডে আড়াই কোটি টাকার ঘাপলা, তদন্ত কমিটির কাজ শুরু

jessore education board

যশোর শিক্ষাবোর্ডে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির কাজ শুরু আজ ৯ অক্টোবর শনিবার থেকে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।

পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানীকে। এছাড়া, সদস্যরা হচ্ছেন, বিদ্যালয় পরিদর্শক ডক্টর বিশ্বাস শাহীন আহম্মেদ, উপপরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) ইমদাদুল হক, উপসচিব (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর আলম ও সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবোর্ড শাখার ম্যানেজার শাহীনুর রেজা।

তদন্ত কমিটির প্রধান কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানী বলেন, সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। তিনি বলেন, তদন্ত হবে স্বাধীনভাবে। সেখানে বোর্ডের যে পর্যায়ের কর্মকর্তাই জড়িত থাকনা কেন চিহ্নিত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে আড়াই কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাতের ঘটনা জানাজানি হয়েছে বৃহস্পতিবার। দু’টি প্রতিষ্ঠানের নামে এই টাকা সরানো হয়েছে। শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে এই টাকা সরানো হয়।

শিক্ষাবোর্ড রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ১০ হাজার ৩৬ টাকা জমা দিতে নয়টি চেক ইস্যু করে দু’অর্থবছরে। কিন্তু এর স্থলে এ নয়টি চেকের মধ্যে সাতটিতে বিভিন্ন সময় একটি প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে জমা হয় এক কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ১০ টাকা এবং আরেকটি প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

যদিও এই টাকা বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের কাছ থেকে সাথে সাথে নিয়ে নেন বলে প্রচার হচ্ছে। মোট কথা, ওই দু’টি প্রতিষ্ঠানকে কেবলমাত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে বোর্ড সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেছেন, এ ঘটনায় বোর্ডের একটি চক্র জড়িত। তদন্ত কমিটি সুষ্ঠু তদন্ত করলে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।