ই-অরেঞ্জের সোনিয়া দম্পতিসহ তিনজন রিমান্ডে

পণ্য সরবরাহ না করে প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের এক কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহর এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলায় তিন আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক সুব্রত দেবনাথ।

এরপর আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। গত ৭ অক্টোবর সাজ্জাদ ইসলাম নামে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী হাতিরঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ই-অরেঞ্জের চমকপ্রদ অফার দেখে তিনি, তার ভাই এবং এক বন্ধু বাসা বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিস, বাইক বাবদ এক কোটি ২০ লাখ টাকার পণ্য অর্ডার করেন। প্রতিষ্ঠানটি পণ্য সরবরাহ না করে তাদের অর্থ আত্মসাৎ করে।

এদিকে গত ১৭ আগস্ট গ্রাহকের ১১শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন প্রতারণার শিকার তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক।

মামলা দায়েরের পর ওই দিনই সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া প্রতারণার অভিযোগ গত ১৮ আগস্ট আমান উল্যাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।