প্রতিবাদ করলেই তো শ্রীঘরে যেতে হবে : রিজভী

ruhul kabir rizvi
ফাইল ছবি

নোয়াখালী-কুমিল্লার পূজামণ্ডপের ঘটনায় যাদের নাম উঠে এলো তারা সবাই যুবলীগ-ছাত্রলীগ বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রংপুরের পীরগঞ্জে যে ছেলেটির নাম আসল তাকে ছাত্রলীগ বহিষ্কার করেছে।

কিন্তু তার পরও বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে থাকলে আর শেখ হাসিনার মতো প্রধানমন্ত্রী থাকলে এটা অসম্ভব ব্যাপার না।

বৃহস্পতিবার ২৮ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশে পেঁয়াজের দাম, মরিচের দাম, চালের দাম, তেলের দাম বাড়ুক- এই সরকারের তাতে কী যায়-আসে? দাম যারা বাড়িয়েছে তাদের বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে, লুটপাটের মাধ্যমে বিশ্বের উন্নত দেশে তাদের বাড়ি-ঘর হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষ বাঁচল না মরল তাতে তো তাদের কিছু যায়-আসে না।

তিনি বলেন, এক লাফে সাত টাকা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এক লাফে তেলের দাম সাত টাকা বাড়া অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু এ দেশে সম্ভব, কে এই প্রতিবাদ করবে? প্রতিবাদ করলে তো আপনাকে যেতে হবে শ্রীঘরে অথবা লাল ঘরে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশে কোনো নিরাপত্তা নেই। এ দেশে চালের দাম বেশি, সয়াবিন তেলের দাম বেশি, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, বৃদ্ধি পেয়েছে সুপেয় পানির দামও।

মানুষ ক্ষুব্ধ, তাই একটি ঘটনা ঘটাও, মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে থাকবে। যে কারণে তোমরা কুমিল্লা, নোয়াখালীর দিকে তাকাও, দৃষ্টি ওই দিকে থাকবে। তোমরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বোলো না। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের কৌশল।